ভোরের আলো ডেস্তকঃকদীরে যা আছে তাই হবে এমন অভিব্যক্তি নিয়ে রক্ত দান করলেন আলমগীর অলিক। নিজ মুখে শুনুন তার রক্তদানের কাহিনী ঃ
এই তো গতকালও মানবিক পুলিশ জহিদ হাসানের ডাকে রক্ত দিতে এসেছিলাম রক্ত দিতে পারি নাই।
কোন রোগীকে রক্ত দেওয়ার আগে আমি ঐ রোগীটির শারীরিক অবস্থা কেমন দেখি।রোগীকে দেখে মায়া লাগল।আমি রক্ত দিতে গেলে তখনি বিপত্তি ঘটে। (অনেকেই জানে আমার মাইগ্রেইনের সমস্যা)যিনি রক্ত নিবেন আমাকে বলল আপনি রক্ত দিতে পারবেন! বললাম আমার একটু একটু মাথা ব্যথা হচ্ছে। তিনি বললেন আমি শারীরিক ভাবে ফিট না সো আপনার কাছ থেকে রক্ত নেওয়া হবে না। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই সুপরামর্শ দেওয়ার জন্য।তো আমি সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল থেকে চলে আসি।আসার পরে খবর নিয়ে দেখলাম কে রক্ত দিল বলল এক ছাত্র এসে দিয়ে গেছে।আমার বেশ ভালো লাগলো। আজকে বিকেল ৪ টায় আবার ফোন ভাই আপনি রক্ত দিতে পারবেন? রাজি হয়ে গেলাম। চলে গেলাম রক্ত দিতে, ৮ম বারের মত রক্ত দিলাম।রোগীকে রক্ত দিচ্ছে আমি সেখানে রোগীকে জিজ্ঞেস করতেই একটা প্রশান্তিময় হাসি দিল।যা দীর্ঘ দিন মনে থাকবে।গরীব হলেও তাদের যে কৃতজ্ঞতা আমি ভুলব না। ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি আমার পরিবার সম্মতি দেয় নি।পরবর্তীতে ঠিকই ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে কলা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তর সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করি।কাল তো রক্ত দিতে পারলাম না আজ ঠিকই রক্ত দিলাম ধন্যবাদ জানাই হে দো-জাহানের বাদশা।মোটকথা হল বিধাতা কপালে যা লিখছে তাই হবে। আজ আমার পাঠাগার থেকে মিলন কাকাকে বই দেওয়ার কথা ছিলো আমি পারিনি বলে দুঃখিত।এদিকে বন্ধু রমজান কিশোরগনজ বেড়াতে আসার কথা ছিলো ও আসবেনা বলে জানিয়ে দিল। আজকে নাহার ও রাজনের সাথেও কথা হল।বৃক্ষ প্রেমিক হোসেন আলমগীর ভাইও ডাকছে এখন গাছ লাগানোর জন্য আর একটি ভাল কাজে যোগদান করতে পারলাম না।
রোগীর অভিভাবক আবারও ফোন করে জানতে চাইলো আমি বাসায় পৌঁছাতে পারছি কিনা।আমি বললাম এইতো মাত্র এলাম।আমি ভাল আছি , সুস্থ আছি ।
আপনারাও ভালো থাকুন।।