ভোরের আলো বিডি স্টাফ রিপোর্টারঃ
-----------------------
চিকিৎসা একটি মহান পেশা। যে পেশার পেশাদারিত্বের উপর নির্ভর করে ওই পেশার গুরুত্ব ও মান-মর্যাদা। শ্রদ্ধাভরে সন্মান করে মহান পেশায় জড়িত সন্মানিত শ্রদ্ধাভাজন সুপ্রিয়দেরকে। একজন অসহায় মানুষের বিপন্ন জীবনকে ভালবাসা ও আন্তরিকতা লালনে সুস্থ সবল হয়ে উঠে। যার কারণে বেশ কিছু পেশাকে আদিকাল থেকে মহান পেশা হিসাবে স্বীকৃত পেয়েছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে মহান পেশার পেশাদারিত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রশ্নের অবতারণা হচ্ছে। ফলে পেশার ', মহান শব্দটির ' বিশেষণ নিয়ে নানা মহলে
সংশয় দেখা দিয়েছে। আজকে কালের কন্ঠের আঞ্চলিক প্রতিনিধির অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে এসেছে
চাঞ্চল্যকর কাহিনি । ধন্যবাদ কালের কন্ঠে সন্মানিত প্রতিনিধিকে। ডাঃ অনুজা রায় বনি যিনি ২০১৩ নভেম্বর মাসে সহকারী সার্জন হিসাবে যোগদান করেন নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। জীবন যেখানে পথ চলা শুরু। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে গ্রামীণ জনপদে অসহায় মানুষদের পাশে চিকিৎসা সেবা পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য বিসিএস পাশ করার পর প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোষ্টিং দেন। কিন্তু বিধিবাম ! যোগদানের কিছু সময় পাড় করেই ব্রেইনড্রেইনে পতিত হন অনেক ডাক্তার স্বজনেরা। অথচ সরকার সাধারণ জনগণের ট্যক্সের টাকায় প্রতিটি শিক্ষার্থী পেছনে ব্যয় করে। আদর্শ দক্ষ চিকিৎসক বানানো ব্রত নিয়ে অবিরাম পথ চলা শুরু হয় রাস্টের । কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে যোগফলের হিসাব বড়ই নিষ্টুর।
প্রিয় দেশের অর্থে পড়াশোনা করে নিজের আখের ঘুচাতে ডাক্তারি পাশ করার পরে বেমালুম ভুলে যান প্রিয় স্বদেশের স্বাস্থ্যহীন অবস্থাকে। উচ্চতর ডিগ্রি নিতে পাড়ি জমান শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকাতে।
চিকিৎসা পেশার মত স্পর্শ কাতর পেশায় যেখানে প্রতিক্ষণই ডাক্তার হাসপাতালে নিয়োজিত থাকার কথা, সেখানে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্বাস্যসেবা নিশ্চিত করতে ডাঃ অনুজ রায় রনি এ কমপ্লেক্সে যোগদান করে আট বছর যাবত লাপাত্তা রয়েছেন, যা নান্দাইল বাসীর সাড়ে চার লাখ অধিবাসীর সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আজকাল মহান পেশার মহানুভবতা নিয়ে হরহামেশাই প্রশ্ন ছুড়ছে সাধারণ জনগণ। যাদের আচরণ নিয়ে হরহামেশাই খবরে কাগজে সংবাদ চাউর হচ্ছে। সংবাদে জানতে পেরেছি চিঠি চালাচালি হচ্ছে। কিন্তু ওইসব স্বজনদের পরিণাম সুখকর হয় বলেই ফাঁকি দেওয়ার রেওয়াজটা রীতিমতো বেড়েই চলছে। এসব কর্ম কান্ডে একশ্রেণির লোকদের যোগসাজশ রয়েছে বলেই এরা নির্বিঘ্নে অনুপস্থিত থাকার ভাবনায় ওরা সচেষ্ট রয়েছে । এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে সরকার ও রাষ্ট্রের প্রতি জনগণ আস্থা হারাতে পারে। ।