সাদিয়া জাহানঃ ভেড়ামারা চাঁদগ্রামে আবারো ফসলী জমিতে ফূলকপি ও বেগুনগাছ কেটে ক্ষতিসাধন করেছে দুর্বৃত্তরা!
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চলমান দ্বন্দ্ব যেন প্রশমিত হচ্ছেই না। দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিদ্বেষ ও হানাহানির বলী হতে হচ্ছে দরিদ্র অসহায় কমজোরী কৃষককে। নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমির উৎপাদিত ফসল। এর ধারবাহিকতায় শনিবার গভীর রাতে হেলাল ও শরিফ নামের দুই চাষীসহ আরো কয়েকজনের জমির ফসল কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এর ফলে আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকার ফসল হানির কথা জানালেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
জানা গেছে গতকাল ০৮ অক্টোবর শনিবার গভীর রাতে কতিপয় দুর্বৃত্ত হেলালের প্রায় ৫ বিঘা জমির ফুলকপির আবাদ ধ্বংস করে দিয়েছে।
শরিফের এবং হেলালের বেগুন ফসলের ক্ষতি করেছে। এছাড়া অন্য একজন কৃষকের লাউগাছ সমূলে বিনষ্ট করেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, জমি বর্গা নিয়ে, ঋণের মাধ্যমে টাকা যোগাড় করে তারা ফসলের চাষ করেছেন। গত দু'মাস যাবৎ ফুলকপির জমিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রম করে আর মাত্র ২০ দিন পরেই যখন ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন তখন কোন প্রাকৃতিক দূর্বিপাক নয় কিছু বিবেকহীন মানুষের রোষাণলে পরে তার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোঃ আঃ রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দ্বন্দ্বের খেসারত দিচ্ছে নিরীহ কৃষকেরা। কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে ফসল হানি করেই যাচ্ছে। যারাই এই কাজ করুক না কেন তারা মনুষ্যত্বহীন। আল্লাহমুখাপেক্ষী ধার্মিকগণ বলেনঃ তাদের বিচার আল্লাহ অবশ্যই করবেন।
এদিকে ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ বাবু হোসেন বলেন, মৃত দানেজ আলী মন্ডলের পুত্র হেলালের ফুলকপি এবং শরিফের বেগুনের আবাদ ধ্বংস করে দেয়ার ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। খবর পেয়ে তিনি নিজে স্বশরীরে তাদের জমির কাটা ফসল সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছেন। এই ঘটনাকে তিনি চরম বর্বরতা বলে অভিহিত করেন। এব্যাপারে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি থানায়। অভিযোগ পেলেই তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।