রেজাউল হাবিব রেজা
সারাদেশে সাংবাদিকদের অবস্থা পর্যালোচনা করে এক জরুরি সভায় মিলিত হয়েছিল জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কোন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা এ দেশ ও জাতির নানা চিত্র ধরেন। কোথায় অসঙ্গতি আছে, কোথায় জুলুম চলছে, কোথায় মানুষ নানাভাবে হয়রানির শিকার তা নি য়ে সব সময় সোচ্চার থাকে সাংবাদিকরা। আর এ কারণে সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ দৃষ্টি থাকে জুলুমবাজদের। সাংবাদিকরা কলমের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিষ্ট মিডিয়ায় এসব বিষয় কাভারেজ করে থাকেন। ফলে তা দৃষ্টি গোচর হয় প্রশাসনের। প্রশাসন এতে সংকট নিরসনের সুযোগ পায়। ভুক্তভোগী মানুষ গুলো কিছুটা হলেও প্রশান্তি পায়। যার কারণে সাংবাদিকরা কারো কারো কাছে চক্ষুশূল হয়ে ওঠে।
সবাই অবগত আছেন যে কিছুদিন পূর্বে রাজশাহীতে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র ও সমাজ বিধংসীদের কাহিনী মিডিয়ায় তুলে ধরায় তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করেছিল।
এক পর্যায়ে মুক্তবুদ্ধির ও স্বাধীনতার পক্ষের সাংবাদিকদেরকে হেনস্থা করতে কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে প্রতিবাদ হলে রাজশাহী জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
এরপরই আর এক ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামে। সেখানে এক সাংবাদিকের মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এই সাংবাদিক পরিবারের ওপর চালায় বখাটেদের আক্রমণ। যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায়না।
এমনিভাবে সাংবাদিকরা নানাভাবে অসংখ্য পরিস্থিতির শিকার যা অনেকের জানার বাইরে।
যুগে যুগে সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচারের কাহিনী প্রচুর আছে।।
সবার জানা আছে যে সাগর-রুণীর ঘটনায় ঘাতকরা এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। সাগর-রুণীর মামলার ঘটনা বার বার পিছিয়ে পড়ছে। এমনি ভাবে সাংবাদিকদের অনেক হত্যাকান্ত কাহিনী আজ ফাইলবন্দী হয়ে আছে। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে।
সাংবাদিকদের ওপর এমন নির্যাতন যাতে আর না হয় সেজন্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্তার নেতৃবৃন্দ যুগোপযোগী কর্মসূচি হাতে নেয়ার জন্য মিলিত হয়েছিলো গত ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মনে করেন সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে প্রত্যেকটি সাংবাদিক সংগঠন তাদের পায়ে শক্ত করে দাঁড়াতে হবে। স্ব-স্ব সাংবাদিক সংগঠন শক্ত অবস্থানে দাঁড়াতে পারলে কোনো অপশক্তি রক্তচক্ষু দেখাতে সক্ষম হবেনা। সাংবাদিকরা তাদের সঠিক বিচার পাবে। মূল্যায়ণ পাবে সব জায়গায়। আইন আদালতের মাধ্যমে ফিরে পাবে তাদের ন্যায্য অধিকার।
সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নূর ইসলাম বলেন ঃ " আমাদের জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভিত্তি মজবুত করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিট শক্ত করে দাঁড় করাতে হবে। আমাদের সংস্থা যদি সব জায়গায় শক্ত করে দন্ডায়মান হয় তবে কোনো অপশক্তি সাংবাদিকদের কিছুই করতে পারবেনা।
রাষ্টও তখন যথার্থ মূলযাণ করতে বাধ্য হবে। রাষ্ট্র সাংবাদিকদের সকল অধিকার ফিরিয়ে দিতে অগ্রসর হবে নিঃসন্দেহে। সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম কেন্দ্রীয় সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি সাংগঠনিক তৎপরতায় সোচ্চার থেকে আলোচিত সিদ্ধান্তসমৃহ বাস্তবায়নের জন্য জোর তাগিদ প্রদান করেন।