রেজাউল হাবিব রেজাঃ
🔰🔰আজিজুর রহমান ভাই ভোরের আলো সাহিত্য আসরের বর্তমান সভাপতি। তিনি নিম্নের হ-য-ব-র-ল বইটির লেখক। এতে তিনি ১৭টি লেখা সন্নিবেশ করেছেন।
তিনি একজন নাট্যকারও বটে। আমরা ওনাকে খুব একটা জানিনা। কারণ ওনার বাড়ি টাঙ্গাইল।
চাকুরীর কারণে তিনি কিশোরগঞ্জে অবস্থান করছেন। কিশোরগঞ্জ জেলায় বিয়েশাদী করে তিনি এখানে সেটেল্ড হয়েছেন। জায়গাজমি ক্রয় করেছেন। তিনি এখন কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা।
তিনি নাট্য জগতের একজন লোক। অনেকগুলো নাটকের বই তিনি লিখেছেন ও মঞ্চস্থ করেছেন ও পুরস্কৃত হয়েছেন। সে কথা অনেকেই জানেনা বলে কিশোরগঞ্জের লোকজন ওনাকে নাট্যকার বলতে নারাজ। তাদের অজ্ঞানতাই এর কারণ।
ওনি যেহেতু সরকারী কাজে নিয়োজিত ছিলেন সেহেতু বসদের অনুমতি নিয়ে ওনা'র কার্যক্রম চালাতে হয়েছে।। কিশোরগঞ্জের তৎকালীন ইউএনও মহোদয় ওনার নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য নিজে স্পন্সর করেছেন ও শিল্পকলা একাডেমিতে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। সেই মঞ্চস্থ হওয়া নাটকের বইটির নাম বদের আড্ডা।
আরেকটি বই মঞ্চস্থ করেছেন সার্কিট হাউজে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তা মঞ্চস্থ হয়েছে। তৎকালীন ডিসি মহোদয় নাট্যকার আজিজুর রহমান ভাইকে পুরস্কৃত করেছেন। মঞ্চস্থ হওয়া এ নাটকটির নাম বদের আছারি। দুটু বই নিজের লেখা ও নিজেই অভিনয়ে রূপ দেয়া।
তার আগে টাঙ্গাইল এলাকায় " রক্তস্রোত " নামের একটি নাটক লিখে ও মঞ্চস্থ করে টাঙ্গাইল জেলায় সাড়া ফেলেছিলেন। সেটি মঞ্চস্থ হয়েছিলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
আসলে চাকুরীর সীমাবদ্ধতায় তিনি ভাইরাল হতে পারেননি। তিনি নাটক নিজে করেন, নিজে অভিনয় করান ও নিজে নাটকের ফ্রমটারিও করেন। আমরা তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তার চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পরও। গান-কবিতা লিখে যাচ্ছেন অবিরত। ছোট গল্পও বাদ যাচ্ছেনা তার কলম থেকে। নাটক ও নাটিকা তো আছেই। আমরা এই পড়ন্ত বেলায়ও তার গতি অব্যাহত থাকুক আর বেঁচে থাকুক তার সৃষ্টির মাধ্যমে।
নিম্নের বইটি দেখতে পারছেন। এতে হামদ-নাত, অন্যান্য গান, ভোরের আলো সাহিত্য আসরের গান সহ ১৭টি লেখা এতে স্থান পেয়েছে।