রেজাউল হাবিব রেজা
৩৬৫দিনে বছর। এসব দিনের সবগুলো দিন একরকম নয়। আবার সব মাসও এক রকম নয়। কোনো কোনো মাস আমাদেরকে চেতনা যোগায়। কোনো কোনো দিন আমাদেরকে ইতিহাসের দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে তা অনুধাবন করার শিক্ষা দেয়। সেইসব চেতনার মাসসমূহের মধ্যে একটি মাস হলো ডিসেম্বর মাস। এ মাসের দিনক্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো ১৬ডিসেম্বর। অনুরূপভাবে আরেকটি চেতনার মাস হলো ফেব্রুয়ারির মাস। যার চেতনার দিনক্ষণ হলো ২১শে ফেব্রুয়ারি। সেইভাবে মার্চ মাসটিও আমাদের চেতনা মাস। এ মাসের চেতনা পরিগ্রহ করার দিনক্ষণ হলো ২৫ ও ২৬ মার্চ। আর ১৫আগষ্ট তো আছেই ! যা আমাদের জাতীয় জীবনের শোককে শক্তিতে পরিণত করার এক যুগসন্ধিক্ষণ বটে।
এসব গুরুত্বপূর্ণ মাস ও দিবসসমূহ যারা কর্মসূচি পালন করেন তাদের উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি, আন্তরিকতা দেখেই প্রতীয়মান হয় যে তারা কতটুকু স্বাধীনতার পক্ষের বা স্বাধীনতার বিপক্ষের। একটি বাস্তব চিত্র প্রদর্শন করলেই তার তারতম্য বুঝা যাবে। যেমন ধরুন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নামের একটি সংগঠন। যারা এ সংগঠনে স্বাধীনতার বিপক্ষের কাজ করছে তাদের নমুনা নিম্নরূপ।
আর যারা স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করছে তাদের মনোভাব নিম্নের চিত্রে দেখুন। এসব চিত্রই প্রমান করে ওরা কোন কোন চেতনার লোক।
উপরোল্লেখিত দু'টো সংগঠনের স্বাধীনতার প্রশ্নে বিপরীতমুখি অবস্থানের মতো আরো বহু সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এ দুটো সংগঠন সহজেই অনুমেয়। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার যে অংশটি জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে ওঠেছে আমি সেই অংশটিকেই স্বাধীনতাবিরোধী বলে সম্বোধন করতে চাই। যার নেতৃত্বে রয়েছে আলতাফ হোসেন নামের এক সিনিয়র সাংবাদিক। আর অপর অংশটির নেতৃত্ব যিনি রয়েছেন তিনি হলেন লায়ন মোঃ নূর ইসলাম।
আলতাফ হোসেনের মোটিভ বুঝতে শুধু চিত্র নয় বাস্তবে এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী প্রতিবেদক নিজেই।
আলতাফ হোসেন দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ ছিলেন। আর লায়ন মোঃ নূর ইসলাম দৈনিক সকালের সময়ের একজন কর্মকর্তা।
আলতাফ হোসেন এ উপমহাদেশের প্রখ্যাত চক্ষু ডাক্তার আবদুল আলীমের খুনি মাওলানা মান্নানের সাথে সম্পর্ক ছিল হার্টের মতো। যার সম্পর্কের বদৌলতে আলতাফ হোসেন দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পান। আর সাংবাদিক সংস্থার অপর অংশের লায়ন নূর ইসলাম হলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এক সিপাহসালার। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের এক আইকন। প্রতিবেদক নিজে এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী ।
"আমি যখন খুনি রাজাকারদের বিরুদ্ধে কলমযুদ্ধ চালাই, তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিক সংস্থার নেতা লায়ন মোঃ নূর ইসলাম আমাকে সাহস দেন। কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে আমার সাথে রাজাকারদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে দাঁড়ান। অপরপক্ষে স্বাধীনতাবিরোধী আলতাফ হোসেনের কাছে রাজাকারদের বিপক্ষে সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, তোমার কী খেয়ে ধেয়ে আর কোনো কাজ নেই? এ কথা বলেই তিনি ক্ষান্ত নন, তিনি তার এক প্রেসসচিবের নাম স্বাক্ষর জাল করে আমাকে অনৈতিক বহিস্করাদেশ দেন। কারণ আমি কেন খুনি রাজাকার নিয়ে লিখি?"