ভোরের আলো ডেস্কঃ

‘জীবন খাতা’, ‘আসমানে যাইয়ো না রে বন্ধু’, ‘আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা’, ‘রেলগাড়ীর ইঞ্জিন’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা ও সংগীতশিল্পী সিলেটের পাগল হাসান (৩৫) আর নেই।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাতটায় ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মিনিবাসের সংঘর্ষে তিনিসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।

জনপ্রিয় তরুণ এই বাউলশিল্পী ছাতক উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের দিলশাদ মিয়ার ছেলে।  হাসানের পারিবারিক নাম মতিউর রহমান হাসান ছিল। নিহত অপরজন হলেন স্থানীয় আহাদ আলীর ছেলে সত্তার মিয়া (৫৩)।

দুর্ঘটনায় রুকন মিয়া কয়েছ মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম নামের তিনযাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাতক ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার পাভেল আহমদ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা থেকে অটোরিকশাযোগে নিজ উপজেলা ছাতকে ফিরছিলেন পাগল হাসানসহ পাঁচজন। অটোরিকশাটি ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় আসার পর গোবিন্দগঞ্জ থেকে দোয়ারাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে অটোটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাগল হাসানসহ অটোরিকশার দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন অটোরিকশার অন্য তিন যাত্রী।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের নেওয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

বেশ কয়েকজন তাঁর মরদেহের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পাগল হাসানের সহকর্মীদের অনেকেই প্রকাশ করেছেন শোক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভারী হয়ে উঠেছে তার অকাল প্রয়াণের আহাজারিতে।

ছাতকের সার্কেল এসপি রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল অবস্থান করছে।

পাগল হাসান সুনামগঞ্জের সন্তান। সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সংগীতাঙ্গনে পরিচিতি ছিল তার। শ্রোতাদের মধ্যেও ছিল জনপ্রিয়তা। তার লেখা গান আসিফ আকবরসহ অনেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী গেয়েছেন। তার একাধিক শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে। এর মধ্যে আসমানে যাইও না রে বন্ধু, জীবন খাতা, আমি জ্বইলা মরি উল্লেখযোগ্য।