কিশোরগঞ্জ জেলার ৩টি উপজেলার প্রথম ধাপে ৮মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলা হল এই নির্বাচনের আওতাধীন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলে সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ৮ঘন্টা সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী কার্যক্রম মনিটরিং করেন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ। বিকেল ৪টার পর শুরু হয় ভোটগ্রহণ। রাতের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে উপজেলা কন্ট্রোল রূম থেকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
৩টি উপজেলার নির্বাচনী ফলাফল নিম্নরূপঃ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা ঃ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪হাজার ৯৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের সমর্থক ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪২হাজার ১৪৫ ভোট।
ভাইসচেয়ারম্যান হিসেবে উড়োজাহাজ প্রতীকে বিজয় হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচন। তিনি ২৫ হাজার ৫৭২ ভেট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান মিতুল চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১হাজার ১৯৯ ভোট।
মহিলাভাইস চেয়ারম্যন পদে হাঁস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোছাঃ মাসুমা আক্তার। তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৫ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাছলিমা সুইটি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২হাজার ৫৭৪ ভোট।
হোসেনপুর উপজেলাঃ আনারস প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭হাজার ১৭৪ ভোট।
ভাইসচেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোঃ বল আমিন। তিনি পেয়েছেন ৩৭হাজার ৫৪১ ভোট। চশমা প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউদ্দিন সরকার বাচ্চু পেয়েছেন ২০ হাজার ৯১২ ভোট। কলস প্রতীক নিয়ে মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে ৪৯ হাজার ৫২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। হাঁস প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সেলিনা আক্তার।
পাকুন্দিয়া উপজেলাঃ আনারস প্রতীক নিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ বিএনপি সমর্থক এমদাদুল হক জুটন ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম রেণু ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়েছেন।
ভাইসচেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীক নিয়ে ২৬ হাজার ২১ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এ,কে,এম, ফজলুল হক বাচ্চু। উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতিউর রহমান সোহাগ পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৮৭ ভোট।
মহিলাভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন শামছুন্নাহার বেগম। তিনি ৪৮ হাজার ৯৬২ ভট পেয়ে বিজয় হয়েছেন। ফুটবল প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা: ললিতা বেগম পেয়েছেন ১৭হাজার ১৮৩ ভোট।
কিশোরগঞ্জ জেলার ৩টি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে বিজয় হতে ভোটের ব্যবধান ছিলো ২ হাজার ৭১৭ ভোট। হোসেনপুর উপজেলার চেয়ারম্যন পদে ভোটের ব্যবধান ছিলো ৬ হাজার ৭৯২ ভোট। পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থীর সাথে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান ছিলো ৯৪৭ ভোট। ভোটের উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন বিশ্লেষকদের মন্তব্য হলো ভোটারদের উপস্থিতি আরো বাড়ানো দরকার। এজন্য ইসির ভুমিকা আরো কার্যকর করা প্রয়োজন। একটি ভোটের গুরুত্ব বুঝাতে ইসি কর্তৃক আরো বেশি প্রচারণার দরকার ছিলো। নির্বাচন বিমুখদের ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত দুস্কৃতিকারীকে শাস্তির আওতায় আনলে নির্বাচনটি আরো প্রানবন্ত হতে পারতো।