বিগত মে মাসের ২১ তারিখ কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন মাইজখাপন মৌজার আর.এস ০১ নং খতিয়ানভুক্ত আর.এস ৭১০৭ নং দাগের নদী শ্রেণির ০.০১৮৫ একর জায়গার অবৈধ দখলকারকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো কিশোরগঞ্জ জেলা ভূমি অফিস। । কিন্ত তারা এ বিষয়ে কোনো কর্নপাত করেনি। বরং দখলকাররা বহাল তবিয়তে আছেন এবং শক্ত অবস্থান তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছেন।
তাদের এ অপকর্ম বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কিশোরগঞ্জ এর দেয়া ০২৯৯৭৭৬১৫৫০ নং ফোনে কল করলে তা রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য যে, তাদের বিগত ২১ মে'র দেয় নোটিশে বলা হয়েছিলো যে, "" সরকারি সম্পত্তি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ০৭ (সাত)দিনের মধ্যে নিজ নিজ উদ্যোগে সরকারি ভুমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য আপনা/ আপনাদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় আইনানুযায়ী সরকারি সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
আজ জুন মাসের ০৪ তারিখ হিসেবে নোটিশ জারির ১৪দিন পেরিয়ে গেলেও দখলকাররা কোনো তোয়াক্কাই করছেনা। এ বিষয়ে প্রশাসন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানার জন্য ফোন করা হলেও সলশ্লিষ্ট ফোন নম্বর থেকে কোনো উত্তর আসেনি। ফলে জনমনে রাজস্ব শাখা কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে।
নোটিশ থেকে প্রাপ্ত দখলকারদের নাম সমূহ হলোঃ মোঃ বকুল মিয়া,পিতামৃত তমর উদ্দিন।মঞ্জু মিয়া, পিতা মতি মিয়া। মো: আল আমিন, পিতাহাজী নুরুল ইসলাম। মোঃ লোকমান, পিতামৃত মফিজ উদ্দিন। মোঃ হাদিস মিয়া, পিতামৃত আঃ মন্নাস। মোঃ ইসলাম, পিতা মতি মিয়া। মোঃ সোহরাব, পিতামৃত ওয়াহেদ আলী। মোঃ ফরিদ মিয়া,পিতা বজলুর রহমান। মোঃ শান্তু মিয়া, পিতা নজরুল। মোঃ কামাল, পিতা দুঃখু মিয়া। সর্ব সাং বেত্রাটি বলে উল্লেখ আছে। তারা সবাই জেলার সদর উপজেলাধীন মাইজখাপন মৌজার স্থায়ী বাসিন্দা।
এলাকার জনগণ প্রত্যাশা করে যে, ভূমি প্রশাসনের সচ্ছতার জন্য অবিলম্বে অবৈধ দখলকারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ভুমিকা পালন করবে।