(ডেস্ক রিপোর্ট) শহীদ লেফটেন্যান্ট আশফাকুস সামাদ বীর উত্তম স্মৃতি গ্রন্থাগারটির তালিকাভুক্তকরণ সনদ প্রদান করেছে সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সুমন।যার তালিকা নং ৯০।
গত ০৪ জুন(মঙ্গলবার) কিশোরগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সুমন হঠাৎ হারুয়াস্থ শহীদ লেফটেন্যান্ট আশফাকুস সামাদ বীর উত্তম স্মৃতি গ্রন্থাগারটি পরিদর্শনে এলে ব্যবস্থাপনা দেখে তিনি অত্যন্ত খুশি হন এবং অতি দ্রুত নিবন্ধনের ঘোষণা দেন।সেই ঘোষনার প্রেক্ষিতে আজ দুপুর ২ঘটিকায় সরকারি গ্রণগ্রন্থাগার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাগারের দ্বায়িত্বশীলদের হাতে সনদটি হস্তান্তর করেন সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সুমন।এসময় উপস্থিত ছিলেন এ গ্রন্থাগারের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক রেজাউল হাবিব রেজা,সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আবু সাঈদ,সহসভাপতি প্রকৌশলি জাহাঙ্গীর আলম খান,সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো: সারোয়ার জাহান,কোষাধ্যক্ষ মোছাঃ লতিফা আক্তার,গ্রন্থাগারিক জান্নাতুল ফিরদাউস আশামণি।
Voreralobd কে প্রতিষ্ঠাতা হাজী আবু সাঈদ বলেন "আমি পত্র-পত্রিকা ও গুগল সার্চে জানতে পারলাম যে, শহীদ লেফটেন্যান্ট আশফাকুস সামাদ বীর উত্তম কিশোরগঞ্জের একজন গর্বিত সন্তান।তার পিতৃভূমি করিমগঞ্জ উপজেলার সতেরদরিয়া গ্রামে।সেখানে তাদের জমাজমি ও ভিটেবাড়ি রয়েছে।বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার মামাতো ভাই।আশফাকুস সামাদের নামে কিশোরগঞ্জে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।যদিও কিশোরগঞ্জের এই বীর সন্তানের নামে রংপুর সেনানিবাস, ভুরুঙ্গামারী ও ঢাকায় তার নামে নানা নিদর্শন রয়েছে।তাই আমি মনস্থির করলাম যে, আমি আমার ক্ষুদ্র সামর্থের মাধ্যমে অন্তত একটি গ্রন্থাগার তো করতে পারি।নিজের জেলায় নিজের অর্জনের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই সেই আক্ষেপ থেকে শহীদ লেফটেন্যান্ট আশফাকুস সামাদ বীর উত্তম স্মৃতি গ্রন্থাগার নামের প্রতিষ্ঠানটি গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করি।"
তালিকাভুক্তকরণ সনদটি প্রদান করে জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান আজিজুল হক সুমন যেমন সম্মানিত হলেন,তেমনি তিনি কিশোরগঞ্জবাসীর কাছে আশফাকুস সামাদ বীর উত্তম নামের নিজ জেলার একজন উচ্চপর্যায়ের খেতাবপ্রাপ্ত বীর সেনানীকে স্মরণ করার বিশেষ অবদান রাখলেন।গ্রন্থাগারটি একটি উল্লেখযোগ্য স্থানে স্থাপিত হয়েছে বলে এলাকাবাসীও অত্যন্ত খুশি।