প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ৪:০৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১, ২০২৪, ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাজ্যে যুদ্ধাপরাধী মুঈনুদ্দীনের মামলা: সরকারকে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ সেক্টর ফোরামের

মো.রেজাউল হাবিব রেজা/সাক্ষী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালঃ
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মুঈনুদ্দীন তার সাজা বিষয়ে কাউন্টার মামলা৷ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশসরকারকে যথাযথ আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, আদেশটি ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের বিচার ব্যবস্থাকে বহির্বিশ্বে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হতে পারে।
“তাই এ আদেশকে হালকাভাবে দেখা বা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।”
আমি যুদ্ধাপরাধী মামলার একজন সাক্ষী। তাছাড়া কিশোরগঞ্জ সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের একজন সদস্য বটে। তাই আমার পক্ষ হতে কুটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাবার প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন রইলো।
আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধীর কিছুটা শাস্তি হয়েছে ভেবে আমরা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছি। এটা আদৌও ঠিক নয়। যুদ্ধাপরাধীরা বসে নেই। আজ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীরা তারা বিপরীতে দাঁড়িয়ে মামলা করার সুযোগ পেয়েছে সেটা আমাদের ব্যর্থতার ফসল। একটি মামলায় রায় তাদের পক্ষে চলে গেলে বাকী মামলাগুলো এমনিতেই প্রশ্নবিদ্ধ হবে এতে সন্দেহ নেই। আজ সরকার যে সতর্কতায় এগুনো দরকার ছিলো সেটা করছেনা। ফলে ৭১'এর নারকীয় ঘটনার বিষয়গুলো ইতিহাসের আঁধারে চলে যাচ্ছে। আমরা যারা বাংলাদেশে খুনি-ধর্ষক-অগ্নিসংযোগকারী ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মামলা করেছি তারা আজ উৎকন্ঠায় আছি। যাদেরকে সরকার দন্ড দিয়েছে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করছেনা। ফলে লুকিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসররা তাদের হাত-পা নাড়ছে। সাক্ষীযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়েও কোনো কথা বলছেনা সরকার। এটা আমি সেক্টর ফোরামের ও রাষ্ট্রপক্ষের একজন সদস্য হয়ে তা মেনে নিতে পারিনা।
সরকারকে সবিনয় আহবান জানাবো,তারা যেন অবিলম্বে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং আমাদের মতো সাক্ষীদেরকে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হন।
Copyright © 2025 Vorer Alo BD. All rights reserved.