প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ১:৫৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১১, ২০২৪, ৪:১৩ অপরাহ্ণ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক তরুনীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ।
ভোরের আলো বিডিঃ
ফেসবুক আজ সামান্য লোকের জন্য আশীর্বাদ হলেও বেশির ভাগ মানুষের জন্য এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যারা ফেসবুক ব্যবহারকারী তারা বেশিরভাগ কুরুচিপূর্ণ পথে অগ্রসর হচ্ছে। আর তাতে শিকার হচ্ছে ওঠতি বয়সের তরুন-তরুণীরা। এমন এক উদাহরণ হলো হোসেনপুরের এক ঘটনা। নানান তথ্য সুত্রে জানা গেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ে তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. সুমন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর পিতা বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মো. সুমন মিয়া ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মো. সুমন সদর উপজেলার কুট্টাগর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে ও তার সহযোগী মো. শামীম একই উপজেলার টুটিয়ারচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে বলে জানা যায়।
তথ্যবিবরণীঃ ২ মাস পূর্বে ফেসবুকে মো. সুমনের সঙ্গে হোসেনপুর উপজেলার দক্ষিণ পানান গ্রামের বাসিন্দা ও হোসেনপুর আদর্শ মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই তরুণীর পরিচয় হয়। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে গাজীপুরে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তরুণী রাজী না হলেও ৭ জুলাই সুমন তার সহযোগী মো. শামীমের সহযোগিতায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই তরুণীকে অপহরণ করে গাজীপুর নিয়ে যান। সেখানে তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ১০ জুলাই বিকেলে সুমন গাজীপুর থেকে সিএনজি যোগে ওই তরুণীকে উপজেলার দ্বীপেশ্বর গোলচত্বর এলাকায় নামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে চাইলে ওই তরুণীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয় জনতা তরুণীকে উদ্ধার করে সুমন ও শামীমকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
¢হোসেনপুর থানার ওসি নাহিদ হাসান সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর ওই তরুণীর বাবা থানায় এসে মামলা করেন। গ্রেপ্তার মো. সুমন ও মোঃ শামীমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Copyright © 2025 Vorer Alo BD. All rights reserved.