কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের হারুয়াস্থ এক বাসায় গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ৬ ঘটিকায় এক লোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অভিযোগ পত্র অনুযায়ী জানা যায়, চলতি জুলাই মাসের ৭ তারিখ হারুয়াস্থ কসাইখানা রোডস্থ মনোয়ারা বেগমের ভাড়া বাসায় প্রবাসীর স্ত্রী তানজিনা আক্তার তার মা সহ ভাড়াটে হয়। এ সময় মোঃ আনাছ নামের এক যুবক তানজিনার মাকে ধর্মের মা ডাকে। সেই সুবাদে তাদের বাসায় আসা যাওয়া শুরু করে আনাছ মিয়া। গড়ে উঠে সু-সম্পর্ক।
ঘটনার দিন ২৬ জুলাই তানজিনার মামা এবং মামী এই বাসায় মেহমান হিসেবে অবস্থান করছিলো। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই ধর্মপুত্র আনাছ মিয়া, পিতা মোঃ আঃ সালাম তার সঙ্গীয় করিম মোল্লার পুত্র রাকিব (৩২), উসমান গণির পুত্র মোঃ বাছির (৩৩), মতু মিয়ার পুত্র ফারুক (৩৩), অজ্ঞাত পিতার পুত্র সিহাব (৩২), নুরু মিয়ার পুত্র সুমন (৩১) দেরকে নিয়ে মনোয়ারা বেগমের ৪ তলা ভবনের নিচ তলার বাম পার্শ্বের ইউনিটের রুমে হাজির হয়। এবং একযোগে বলতে থাকে যে, এই বাসায় খারাপ কাজ হয়। খারাপ কাজের ওজুহাত দেখিয়ে তারা তানজিনার মামা ও মামীকে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেয়। অপর দিকে সিহাব ও সুমন নামের দুই আসামী তানজিনার মা সাফিয়া খাতুন, ভাই বিপ্লব ও ছোট বোন স্মৃতিকে অন্য রুমে আটকিয়ে রাখে। এমন সময় ধর্মপুত্র আনাছ ও সঙ্গীয় রাকিব, মোঃ বাছির ও ফারুক মিয়া পালাক্রমে তানজিনাকে উপর্যপরি ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে কাউকে এই ঘটনা জানাইলে মেরে ফেলবে বলে হুমকী প্রদান করে। তানজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কিশোরগঞ্জ সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অতঃপর ডাক্তারের অনুমতিক্রমে হারুয়া বাসায় এসে ধর্ষক ও ধর্ষকদের সহযোগীতা কারীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় তানজিনা নিজেই একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৬ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে ধর্মপুত্র আনাছ ও রাকিবকে ্কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধৃত ২ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং অন্য আসামীকে গ্রেফতারের জন্য কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।