তাছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন পৃথকভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটি উদযাপন করছে। সরকারি-বেসরকারি, আধাসরকারী, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্টানসমূহে পূর্ণ মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সূচিত হয় বিজয় উপভোগের এক অনন্য অনুভুতি।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এ সময় সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭টায় গুরুদয়াল সরকারি কলেজের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা।
সকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলামসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী বিজয় মেলা। বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানাগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।