প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ২:১৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৫, ৩:১১ অপরাহ্ণ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবস্থ ডাঃ মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন ও অতিথিদের মাঝে সম্মাননা প্রদান

রেজাউল হাবিব রেজা, কিশোরগঞ্জ থেকেঃ
আজ ২৬ মার্চ, ২০২৫ (বুধবার) ডাঃ মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, বাঁশগাড়ী, ভৈরব-এ জাঁকজমকপূর্ণভাবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে ডাঃ মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পক্ষ থেকে ভৈরবে অবস্থিত দুর্জয় ভৈরব স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে ইউনিভার্সিটির ডিজিটাল কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ডাঃ মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি'র রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেন। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আজিজুল হক৷ তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, "প্রিমিয়ার গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও ডাঃ মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি'র প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এইচবিএম ইকবাল, তিনি এই এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে একটি বৃহৎ শিক্ষাভুবন প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা উনার সেই মহৎ স্বপ্ন পূরণের অংশীদার হতে পেরে আমরা তার কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমরা উনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।"

উক্ত আলোচনা সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তোফাজ্জল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জিল্লুর রহমান প্রিমিয়ার ব্যাংক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ উদ্দিন আহমেদ, এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার ও ভৈরব প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোস্তাফিজ আমিন, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি সুমন মোল্লা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি-এর সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এফ এম নাজমুস সাদাত, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন জনাব মোঃ আশেক আল আজিজ এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আলোচকবৃন্দ ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন যে, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো অর্থনৈতিক মুক্তি, বৈষম্যহীন সমাজ ও বাকস্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বক্তাগণ মত প্রকাশ করে বলেন, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ দেখতে চাই—যেখানে সুবিচার, সুশাসন ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে, যাতে সুশাসন নিশ্চিত হয়। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ ও দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। মনে রাখতে হবে—"আমার যা ইচ্ছা তাই করা" স্বাধীনতা নয়। আমার কথা, চলাফেরা ও কর্মকাণ্ড যেন অন্য ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে—সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। দেশ পরিচালনায় আমাদের জাতিসত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় এনে জনগণের জন্য প্রকৃত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Copyright © 2025 Vorer Alo BD. All rights reserved.