প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ৪:৪৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
বিশ্ব বই দিবস পালনে শহীদ আশফাকুস সামাদ বীর উত্তম স্মৃতি গ্রন্থাগারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রেজাউল হাবিব রেজা
২৩ এপ্রিল বিকেলে শহীদ লেফটেন্যান্ট আশফাকুস বীর উত্তম স্মৃতি গ্রন্থাগারে বিশ্ব বই দিবস পালন করা হয়েছে।
গতকাল ২৩ এপ্রিল (বুধবার) বিকেল ৫টায় কিশোরগঞ্জ শহীদ লেফটেন্যান্ট আশফাকুস বীর উত্তম স্মৃতি পাঠাগারে বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ সংলগ্ন আশফাকুস সামাদ স্মৃতি গ্রন্থাগারের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এর প্রতিষ্ঠাতা হাজী মোহাম্মদ আবু সাঈদ।

এ গ্রন্থাগারের উপদেষ্টা রেজাউল হাবিব রেজার সঞ্চালনায় এ দিবসটি পালন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন উচ্চবিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ,দেশ ও রাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিন্তক মো: আবদুল গণি।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ শহর সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাবেক কমিশনার মোঃ আলমগীর কবির। উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ উত্তরণ সমাজকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজ বিশ্লেষক মোঃ শফিউল আলম, আল-আজহার মাদরাসার পরিচালক মাওলানা অলিউর রহমান, দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর বাদশাহসহ এলাকার বিশিষ্টজন।

বিশ্ব বই দিবসে সমাজগঠনে কার্যকর ভুমিকা রাখে এমন বই রাখার জন্য আলোচকরা বক্তব্য রাখেন। যে বই সমাজ উন্নয়নে ভুমিকা রাখে তা-ই রাখা দরকার। আলোচকরা বলেন, এখানে উপস্থিত সবাই আলোকিত মানুষ। প্রত্যেকেই বই অধ্যয়ন করার ফলাফল নিয়ে বলেন, অতীত ইতিহাস রোমন্থন করা, সমাজসেবার ক্রিয়াকলাপ জানা ও বাস্তবায়ন করা, সমাজে প্রতিনিধিত্ব করার কৌশল অর্জন, ধর্মীয় অনুশাসনে মানুষকে আদর্শিক হিসেবে গড়ে তোলা, বই সংরক্ষণের ব্যবস্থাকরণ ও গ্রন্থাগারের সমৃদ্ধি করণ ইত্যাদি আজ সম্ভব হচ্ছে বই অধ্যয়ন করার কারণে। যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সবাই বই রপ্ত করার মানুষ। সবার অনুসন্ধিৎসু মনটা সমাজের জন্য কিছু করতে চায় বলেই এমন নিষ্প্রাণ বিষয়ে প্রাণ সঞ্চার করতে এমন আলোচনায় ছুটে এসেছেন।

কারো পারিবারিক তাড়া, কারো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রমের তাড়া,কারো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় চিকিৎসা নেবার তাড়া, কারো জন্য সমাজের দায়বদ্ধতার দায়িত্ব পালনের তাড়া, কারো নিগৃহীত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাড়া তথা সমস্যা সমাধানের জন্য "নানাবিধ তাড়া" কাউকে এ দিবস পালনে বাধাঁগ্রস্থ করতে পারেনি। সবাই ছুটে এলেন শহীদ আশফাকুস সামাদ গ্রন্থাগার কর্তৃক আহুত "বিশ্ব বই দিবস" পালনের জন্য। পরিশেষে সভাপতি হাজী আবু সাঈদ সবাইকে ধন্যবাদ জনিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Copyright © 2025 Vorer Alo BD. All rights reserved.