মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধি ও সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করণ,সারাদেশে সাংগঠনিক সফর, আগামী সংসদ নির্বাচনে মিডিয়া কোটায় প্রার্থী নির্ধারণ ও আভ্যন্তরীণ ছোটোখাটো ভুলভ্রান্তি দূরীকরণ, বিভাগীয় জেলা কমিটির চুলচেরা বিশ্লেষন ও পূণর্গঠিত কমিটি সমূহের অনুমোদন ইত্যাদি বিষয়ে দিনব্যাপি এক বর্ধিত সভা করেছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ।
আজ ১০সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০ঘটিকা হতে দিনব্যাপি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। সংস্থার মহাসচিব খন্দকার মাসুদুর রহমান দীপুর সার্বিক পরিচালনায় সভার উপস্থাপনায় ছিলেন সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রেজাউল ইসলাম।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার শুরু কালের কথা ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলনের ও যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল হাবিব রেজা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মজিবুর রহমান মোল্লা।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন। ৪জন যুগ্মমহাসচিবের ক্রমানুসারের বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যডভোকেট আলতাফ হোসেন,যুগ্মমহাসচিব এবিএম সোবহান হাওলাদার,যুগ্মমহাসচিব এম এ আকাশ,যুগ্ম মহাসচিব রুহুল আমিন প্রধান।
আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সংস্থার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান আলী,ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাওলানা আজিমুদ্দীন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জিল্লুর রহমান আজাদ, পর্যটন সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ আহমেদ খোকন, সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সম্রাট, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।
বিভিন্ন বিভাগ হতে আসা নেতৃবৃন্দের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি ফৌজুল আজাদ চৌধুরী, বরিশাল বিভাগের পক্ষে সংস্থার বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম শহীদ, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মোঃ নুরে ইসলাম মিলন, ঢাকা বিভাগের সভাপতি শ্রাবণ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
নারায়নগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ মনির হোসেন ও বরগুণা জেলার সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম স্বপনও আলোচক হিসেবে সমস্যা ও সম্ভাবনার সকল দিক তুলে ধরেন।
এই বর্ধিত সভায় নতুন করে বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব পান নাজমুল ইসলাম কিরণ সেরবেনিয়াত ও কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান মোঃ রেজাউল ইসলাম।
শেষে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন মেঃ নূর ইসলাম ও মহাসচিব খন্দকার মাসুদুর রহমান দীপু যৌথ স্বাক্ষরে ময়মনসিংহ বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, বরিশাল বিভাগের প্রস্তাবিত বিভাগীয় কমিটি অনুমোদন করে। একই সাথে তারা বরগুণা জেলার কমিটিকেও অনুমোদন দেয়।
দিনব্যাপি বর্ধিত সভায় সংস্থার নেতৃবৃন্দের আলোচনায় মিডিয়া কোটায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলামকে একজন সংসদ সূদস্য হিসেবে দেখতে চায়। সেই হিসেবে সংস্থার কী করণীয় তার জোর সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সংস্থার নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় বলেনঃ সাংবাদিক সমাজ আজ তাদের পূর্ণ অধিকার থেকে বঞ্চিত। সংসদে সাংবাদিকদের নিয়ে কথা বলার লোক নেই। সাংবাদিকদের প্রাণের দাবি তুলে ধরতে হলে সাংবাদিক সমাজের পক্ষ হতে একজন প্রতিনিধি সংসদে থাকা বাঞ্চনীয়। সেই হিসেবে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম একজন যোগ্য ব্যক্তি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। এসব বলছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মহাসচিব খন্দকার মাসুদুর রহমান দীপু।
তিনি সংসদে যেতে পারলে শুধু জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা লাভবান হবেনা, লাভবান হবে গোটা সাংবাদিক সমাজ। প্রত্যেক সাংবাদিক সংগঠন এতে উপকৃত হবে। কারণ লায়ন মোঃ নূর ইসলাম বরাবরই সকল সাংবাদিক সংগঠন ও কর্মরত সংবাদকর্মীদের নিয়ে কথা বলে থাকেন। তাই লায়ন নূর ইসলামকে সাংবাদিক সমাজের কন্ঠস্বর বলা যায়। সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ আরো বলেনঃ লায়ন মোঃ নূর ইসলামকে সংসদে পাঠাতে হলে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থাকে আরো শক্তিশালী করা অপরিহার্য। একই সাথে সকল সাংবাদিক সংগঠন ও সাংবাদিক নেতাদের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া দরকার বলে মনে করেন। ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান লায়ন নূর ইসলাম সকল সাংবাদিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা যায় তিনি সাংবাদিক সমাজের কন্ঠস্বর হসেবে সকলের ম্যান্ডেট পাবেন এবং তিনি ও আমরা সফল হব। সংহত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাস্তবায়িত হবে স্মার্ট বাংলাদেশের কাঙ্খিত স্বপ্ন,গড়ে ওঠবে জাতির জনকের সেই রূপায়িত বাংলা তথা সোনার বাংলাদেশ।
সাংবাদিক সংস্থার এই বর্ধিত সভাটি ছিল প্রাণবন্ত ও উচ্ছ্বসিত। কেননা সভার সভাপতি লায়ন মোঃ নূর ইসলাম আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে অতি সংক্ষিপ্ত ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিয়ে সভাটি সদাশয় চাঙ্গা করে রাখছিলেন। তাছাড়া সভার অনন্য বৈশিষ্ট ছিলো কোনো প্রকার এন্টি করা ছাড়াই অনুষ্টানে অনুপ্রবেশ। যার আগের চিত্র ছিল অনুষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করতেই খাবারের ফি জমা দেয়া। একজন মানবিক নেতা হিসেবে লায়ন মোঃ নূর ইসলাম সংস্থার সকল নেতৃবৃন্দের জন্য উন্মুক্ত করে দেন, যা সাংগঠনিক অনুষ্ঠানের এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত। এভাবে তিনি সংস্থাকে বটবৃক্ষের ন্যায় ছায়া দিয়ে সভাসমূহকে উজ্জীবিত ও প্রাণবন্ত করে রাখেন। ফলে উপস্থিত সকল সংবাদকর্মীরা দিনব্যাপি প্রাণ চাঞ্চল্যতায় সময় অতিবাহিত করেন।
আর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় চুলচেরা বিশ্লেষন করে তিনি কঠিন থেকে কঠিনতম প্রতিশ্রুতির অঙ্গীকার গ্রহণে সচেষ্ট ছিলেন। পরিশেষে তিনি দূর-দূরান্ত হতে আগত সংস্থার সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দ, সংস্থায় সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী ও অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিনব্যাপি বর্ধিত সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Leave a Reply