ভোরের আলো ডেস্কঃ গত ২৬আগস্ট বিডিচ্যানেল ফোর এর অনলাইন পোর্টালের প্রধান সম্পাদক হিসেবে “মানবসমাজ রক্ষায় নৈতিক মূল্যবোধ চর্চার বিকল্প নেই” শিরোনামে একটি সুন্দর লেখা উপস্থাপন করেছিলেন যা আমার দৃষ্টি কেড়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমারও কিছু আলোকপাত। অনলাইনে সার্চ দিয়ে ওই দার্শনিকতুল্য প্রধান সম্পাদক আহমাদ ফরিদের লেখাটি পড়ে নিতে পারেন।
ওই দার্শনিকতুল্য লেখায় দেখেছি তার প্রতিটি কথার মৌলিক ভিত্তি আছে। সমাজিক শান্তির জন্য নৈতিকতা একটি বড় উপাদান। সেই নৈতিকতার ম্লান হয় শ্রেণি বিভাজনে। আমরা বিভক্ত হয়ে পড়েছি নানা ভাবনায়। আত্মমর্যাদার নামে আত্ম অহংকারের উচ্চবৃত্তের সমাজ, সুশীল সমাজ বলে সাধু ও বুদ্ধি সম্পন্ন সভ্য সমাজ, শিক্ষা-অশিক্ষা-কুসংস্কার ও আধুনিকতার আকাশ পাতাল ব্যবধানের তফাৎ এবং তার মেরুকরণ প্রক্রিয়া, ধর্ম শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার বিভাজিত জ্ঞান আহরণে চিন্তার বিস্তর ফারাক, ধণী-গরীব ও মধ্যবিত্তের ত্রি-মূখী জীবন বৃত্ত, অঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির ভিন্নতা ও পারষ্পরিক দ্বান্দ্বিক অবস্থান, ধর্ম-বর্ণের বিশ্বাসগত দ্বন্দ্ব ও বিদ্বেষের অনড়-অটল থেকে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ, রাজনৈতিক বিশ্বাস ও বিরোধের মারমুখো অবস্থা, স্বাধীনতা অর্জনের পর চেতনার পার্থক্যগত অবস্থান ও ব্যাখ্যাগত দৃঢ়তায় চরমবিরোধের চলমান দ্বন্দ্ব , ইত্যাদির প্রভাবতন্ত্রের অমীমাংসার কোলাহলে ক্ষত-বিক্ষত সমাজে নৈতিকতার মতো আদর্শিক টেবলেট কেউ খেতে চায়না। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গায় আদর্শিক ও নৈতিকতার পরম জায়গায় আছে বলে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে। এখন নৈতিকতা কাকে বলে, নৈতিকতা কত প্রকার ও কি কি এসব প্রশ্নে পরষ্পরকে ভাবিয়ে তুলছে। একজন ধার্মিকের কাছে যা নৈতিক একজন নাস্তিকের কাছে তা অনৈতিক। একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে যা আদর্শ ও নৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী লোকদের কাছে হেরে যাওয়া জনগোষ্ঠীর কাছে তা অনাদর্শ ও অনৈতিক। দেশিয় সংস্কৃতি লালনকারীদের কাছে যা নৈতিক, উন্নতবিশ্বের মডেল হিসেবে অনুকরণকামীদের কাছে তা অনৈতিক বলে প্রতভাত !! এই যে নৈতিক-অনৈতিক ব্যাখ্যার পারষ্পরিক দ্বান্দ্বিক উপলব্দির বৈরিতা রয়েছে তার নিরসন কে করবে? সেই ব্যাখ্যার সমন্বয় ঘটাতে সার্বজনীন যোগ্যতাসম্পন্ন নেতৃত্বের কী জন্ম হয়েছে দেশে? সেই নৈতিকতার আহবান জানাতে সম্পূরক ও যৌক্তিক সার্বজনীন সমন্বয়ক আবিষ্কার করা আজই বেশি প্রয়োজন। তবে আপনি যা লিখেছেন তা সমন্বয়ের ভুমিকা পালন করতে পারে বলে বিশ্বাস করি। ( চলবে)
রেজা —
Leave a Reply