মাহবুবুর রহমান বাবুলঃ
ক্ষণস্থায়ী মায়াময়ী এ ধরাতে কেহ ব্যস্ত আলিশান বাড়ি গাড়ি করার নেশায় আবার কেহ অসহায়ত্ব নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে একমুঠো খাবারের আশায়। যাদের অসহায়ত্বের বিবরণ শুনলে গা শিহরে উঠে। এমনি একজন বিধবা নারী মিনারা খাতুন মিনা । দেড় বছর আগে রাজগাতী ইউনিয়নের বড়াইল কুনিয়াপাড়া নিবাসী সিদ্দিক মিয়া মারা যান ঢাকায় যেখানে দিন মুজুরের কাজ করতেন। সিদ্দিক মিয়া প্রথম স্ত্রী মারা গেলে কাজের সুবাদে পাড়ি জমান নাসির নগরে। সেখানে ছয় বছর আগে মিনাকে বিবাহ করেন। এ সংসারে রয়েছে তিন সন্তান। ভিটেমাটি ছাড়া সহায় বলতে কিছুই নেই। ফলে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে গ্রামে গ্রামে ঘুরে অল্প যা পান তা দিয়ে চলছে এ সংসার। গতকাল বেলা দুটায় সন্তানকে কোলে নিয়ে পাগল পারা হয়ে চলছে মিনারা। জিজ্ঞেস করলে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে, কী আর করব যাচ্ছি দুমুঠোয় খাবার জোগাড়ের আশায়। নেই কোন বিধবা কার্ড, মেলেনি সরকারি ত্রান সাহায্যে। এভাবে দ্বারস্থ হয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত হচ্ছে। বড় সন্তান বয়স ছয়। তিন সন্তানই শিশু। এদের দু’বেলা খাবারের নেই কোন গ্যারান্টি। এছাড়া রয়েছে নানা অসুখবিসুখ। ফলে হাত পাতা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কিন্তু এভাবে যে আর চলছেনা। মাঝে মাঝে কথা বলতে হাহুতাশ হয়ে যায়। এরা মানুষ । এদের বাচার অধিকার রয়েছে। ছোট্ট শিশু গুলো একদিন বড় হবে। রোজগারের পথে হাটবে কিন্তু এ মধ্যবর্তী সময়ের লাঞ্জনা গঞ্জনা থেকে বাচার নিরাপত্তা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বিধবা মিনারা বিরামহীন পথ চলা। এ পথ কবে যেন শেষ হয় যার নেই ইয়াত্তা ! সে খাবারের নিরাপত্তা চায় !
Leave a Reply