ভোরের আলো ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জে আনসার-সুইপার মারামারির ঘটনা ঘটেছে আজ দুপুরে। এতে ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ ৫অক্টোবর, বুধবার বেলা সাড়ে ১২ঘটিকায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে এ ঘএনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,হরিজন সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি একটি মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূচনা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আজ সকালে শহীদ সৈয়দ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে কর্মরত এক হরিজনের একটি মোবাইল ফোন হারানো যায়। এ বিষয়ে কর্তব্যরত এক আনসারকে অবহিত করে এবং হাসপাতালের নিরাপত্তার নিয়ে প্রশ্ন তুলে। আনসারের নিরাপত্তা কর্মী সুইপারকে বলেনঃ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় আরো সচেতন ও সতর্ক থাকতে হয়। সুইপার কর্তৃক নিরাপত্তাকর্মীকে এমন প্রশ্ন তোলা ও আনসার কর্তৃক সচেতন ও সতর্ক থাকার পারস্পারিক উপদেশ নিয়ে শুরু হয় বাক-বিতন্ড। তখন ঘড়িতে বাজে সাড়ে ১২টা। বাক-বিতন্ডের এক পর্যায়ে হরিজন সদস্য তাদের সুইপার কলোনীতে ফোন দেয়। এমনিভাবে আনসার নিরাপত্তা কর্মীও ফোন দেন তাদের আনসার ক্যাম্পে। ফলে সুইপার কলোনীর লোকজন ও আনসার ক্যাম্পের লোকজন হাসপাতালে জড়ো হলে উভয়পক্ষের মাঝে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আনসার সদস্যরা এক পর্যায়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ৮ রাউন্ড গুলিতেও যখন হরিজন সম্প্রদায় নিবৃত্ত হচ্ছিলনা তখন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ ফোর্স হাসপাতালে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ ঘটানাটি মোবাইল ফোনের হারানো নিয়ে সংঘটিত। সংঘর্ষ চলাকালে আমরা আমাদের পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ করি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
কিশোরগঞ্জের জেলা আনসার কমান্ডেট মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ জানান, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে ও আপাতত শান্ত আছে।
ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply