আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৯৬১ভোট পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৭১’র বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. জিল্লুর রহমান

রেজাউল হাবিব রেজা ঃ
কিশোরগঞ্জে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচিত হয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে। এটা খুবই গর্বের, খুবই আনন্দের। তা-ও আবার বড়রকম তারতম্যের মধ্যি দিয়ে লাভ করা এ বিজয়। চারদিকে যখন চাউর হচ্ছিল যে,আর কত? ওনাকে দেখে আসছি দীর্ঘদিন থেকে। তিনি এ যাবত মিশতে পারেননি সাধারণ মানুষের সাথে। তা-ই এবার আবহাওয়া বদলে গেছে, ওনার আগের ইমেজে আর ফিরতে পারবেননা। মানুষ একটু নতুন করে ভাবতে চায়। নতুন অবকাঠামোয় ফিরতে চায়। তাই ওনার বিজয় এবার অসম্ভব। এমন বহু কথা যখন আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিলো তখন তাদের মুখে ছাই দিয়ে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান প্রমাণ করলেন চেতনা কখনো পুরাণ হয়না। কারণ ওনি আছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে, ৭১’র চেতনাকে আবার উজ্জীবিত করতে ও স্বাধীনতার সুফল ফলাতে। তাই এহেন চেতনা বাস্তবায়নে সাড়া দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ভোটাররা। এটা তারা প্রমাণ করেছে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার মধ্যি দিয়ে।


আজ ১৭অক্টোবর-২০২২। এক ওইতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ো থাকবে। কারণ কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৯৬১ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এডভোকেট মো. আশরাফ উদ্দিন রেনু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৮ ভোট।

কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১৫৪৮ জন। তাদের মধ্যে ১৫৩৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ৭টি ভোট বাতিল হওয়ায় বৈধ ভোটের সংখ্যা হয় ১৫২৭।
চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন আশিক জামান এলিন (মোটর সাইকেল)। তিনি ১৫৯ ভোট পেয়েছেন। প্রার্থী ছিলেন হামিদুল আলম চৌধুরী নিউটন (ঘোড়া)। তিনি পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। আর মো. সেলিম (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন মাত্র ১৩ভোট।


ঔৎসুক্য জনতা বিজয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানকে তাৎক্ষণিক পুষ্পিত করেন ও আবেগ অশ্রুতে উৎফুল্ল হৃদয় সিক্ত করেন। সুধীজনরা প্রত্যাশা করেন যে, তিনি যেন আগের চেয়েও অধিকতর জনবান্ধব হন এবং স্বাধীনতাবিরোধী প্রজন্মদেরকে প্রশ্রয় না দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো শাণিত করেন। আর স্থানীয় সরকারের ভিতকে যেন আরো শক্তিশালী অবয়বে প্রতিষ্ঠিত করেন। এটাই আপামর জনতার দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category