ভোরের আলো বিডি ডেস্কঃ
“””””””””””””””””””””””””””””””””””
গ্রামের ভাষায় প্রচলিত আছে যে, “একে তো চুরি, চোরের আবার সিনাজুরি।”—এমন প্রবাদ বাক্যের এক বাস্তব কাহিনীর অভিযোগ পাওয়া গেছে হোসেনপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের।
ইউএনও বরাবরে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, মোঃ লালমিয়া ৭০ বছর বয়সী নামের এক বৃদ্ধ তার নিজ গ্রামে একটি মণিহারী দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসতেছিল। বিগত ১ বছর পূর্বে বৃদ্ধের একই বাড়ির একই বংশের হজরত আলীর সন্তান মো জাহিদুল ইসলাম (২২) নামের একটি ছেলে ওই বৃদ্ধের দোকানে চুরি করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে। এ কারণে তার চুরির বিচার করে এলাকাবাসী। এ বিচারে ক্ষুব্দ হয়ে চোর জাহিদুল ইসলামের পরিবারের লোকজন বৃদ্ধকে দেখে নেবে বলে হুমকী প্রদান করতে থাকে। নানাবিধ অত্যাচারে বৃদ্ধ লালমিয়া জর্জরিত হয়ে ওঠে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগাবার প্রয়াসে চোরের পরিবার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। বিগত ৬ মাস পূর্বে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২২) বৃদ্ধকে খুন করবার উদ্দেশ্যে ধারালো দা নিয়ে আক্রমণ করে।
ফলে বৃদ্ধের বাম চোখের নিচে ও ডান বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং পিঠে কোপাইয়া রক্তাক্ত যখন করে। কিন্তু বৃদ্ধ লালমিয়া এর কোনো বিচার পায়নি। এতে চোর পরিবারের সাহস আরো বেড়ে যায়। যার জন্য পরবর্তী ১ মাসের মাথায় আবারও বৃদ্ধকে ফজরের নামাজে সেজদারত অবস্থায় মসজিদে থাকা কাঠের গাছা দিয়ে কোমড়ে ও পিঠে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে হাড়ফাটা বেদনাদায়ক জখম করে। এতে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা চালিয়ে কিছুটা সুস্থ হন বৃদ্ধ । এরই মধ্যে গত ৮ডিসেম্বর(২০২২) তারিখে হিংসার বশবর্তী হয়ে ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে বিকেল ৪ঘটিকার সময় চোর জাহিদুল ইসলামের মা মোছাঃ আনোয়ারা খাতুন(৫২) বৃদ্ধের ২টি কবুতর ও ৩টি মুরগী মেরে ফেলে। যার মূল্য আনুমানিক ২০০০/(দুই হাজার) টাকা হবে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ লালমিয়া তার প্রতিবাদ করলে চোরের মা আনোয়ারা খাতুন ও চোরের বাবা হজরত আলী (৬০) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা দা, লাঠি নিয়ে বৃদ্ধকে মারতে তেড়ে আসে। বৃদ্ধ লালমিয়া ভয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে তার প্রাণ রক্ষা করে।
বৃদ্ধের অভিযোগ পত্র থেকে আরো জানা যায় যে, চোরের পরিবার হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বৃদ্ধকে এই বলে শাসিয়ে দেয় য়ে, “এসব অত্যাচারের কাহিনী কাউকে জানালে বা আইনগত ব্যবস্থা নিলে তাকে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে নিঁখোজ করে ফেলবে।”
অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করা হয় যে, বিবাদীগণ এতই উগ্র যে, “যে কোনো সময় তারা কোনো না কোনো অঘটন ঘটাতে পারে। তাদের ভয়ে ঘরে শান্তিতে বসবাস করা ও রীতিমতো মসজিদে নামাজ আদায় করা দূরূহ হয়ে পড়েছে। মণিহারী দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করাও এখন তার অসম্ভব।” এমতাবস্থায় সমাজে তার কোনো প্রকার বিচার ও ঘটনার সূরাহা না হওয়ায় অবশেষে বৃদ্ধ লাল মিয়া গতকাল ২৮ডিসেম্বর(২০২২) হোসেনপুর ইউএনও বরাবর বিচার প্রার্থনা করে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঘটনার সাক্ষী হিসেবে বৃদ্ধ তার অভিযোগপত্রে মোঃ জাহিদ মিয়া, মোঃ মারফত আলী, মোছাঃ আমেনা খাতুন ও মোঃ খায়রুল ইসলামের নাম উল্লেখ করেন। আজ ২৯ডিসেম্বর-২০২২ (বৃহস্পতিবার) ভোরের আলো বিডি ডেস্কে অভিযোগ পত্রের ফটোকপি দাখিল করলে তা সবিস্তারে নিউজটি অত্র ভোরের আলো বিডি অনলাইন ভার্সনে বার্তা আকারে কাভার করা হয়।
সুধীমহল বৃদ্ধের ন্যায্য বিচার প্রাপ্তিতে উপজেলা প্রশাসন বলিষ্ঠ বুমিকা পালন করবে বলে বিশেষভাবে প্রত্যাশা করছেন।
Leave a Reply