আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাজিতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের হিসেবে খুন হওয়া ঘটনায় ফাঁসি ১, যাবজ্জীবন ৬

ভোরের আলো ডেস্কঃ
বাজিতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের হিসেবে খুন হওয়া ঘটনায় ১জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
জেলার বাজিতপুরে জমি নিয়ে বিরোধের পূর্ব শত্রুতা বশতঃ ৭ বছর আগে খুন হয়েছিল কৃষক আমিরুল হক। এ নির্মম হত্যাকান্ডে বিচারিক আদালত উভয় পক্ষের উকিলের চূড়ান্ত জেরা শেষে বাদী-আাসামীর উপস্থিতিতে আজ ১৭জানুয়ারি-২০২৩ মঙ্গলবার বেলা ১২ঘটিকায় এই আদেশ প্রদান করে আদালত। এতে ১জনের ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে।। একই সাথে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা ও অনাদায়ে আরও ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।

আজ বেলা সাড়ে ১২ঘটিকায় বিচারক মো.জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বর্ণিত আদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে আদালতে অন্য আসামিরা উপস্থিত থাকলেও আসামী ফুকন মিয়া অনুপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম প্রতিবেদককে এ তথ্য জানান।
বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা আসামি কুদ্দুস মিয়াকে ফাসিঁর দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে ও তার বড় দুই ভাই আবুল কালাম (৬০) ও ধনু মিয়া (৫৫) এবং ধনু মিয়ার ছেলে ফুকন মিয়া (৩০), একই এলাকার সোনাফর আলী (৫৫), মুকুল মিয়া (৫৩) ও তার ছেলে নিকুল মিয়াকে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।
বাদীর এজাহারের সূত্রে জানা যায়,খুন হওয়া কৃষক আমিরুল হকের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিল আসামিদের। সেই বিরোধের জের হিসেবে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর রাত ২টার দিকে আসামিরা আমিরুলের বাড়িতে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করে। সন্ত্রাসীরা এ সময় আমিরুলকে পিটিয়ে ও বল্লম দিয়ে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। নিহতের বড় ছেলে শরীফ মিয়া এ ঘটনার পরদিন বাজিতপর থানায় ১১ অক্টোবর বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি প্রথমে বাজিতপুর থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত করেন। পরে তা সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। কিশোরগঞ্জের সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৭ বছর পর আজ ১৭জানুয়ারি-২০২৩ এ মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়।
এ রায় নিয়ে বাদী শরীফ মিয়া সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ও আসামীপক্ষ রায়কে অন্যয্য বলে উচ্চ আদালতে যাবার মত প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category