আরিফা আক্তার
কিশোরগঞ্জ শহর প্রতিনিধিঃ দেশ উন্নয়নের পথে চলছে। বর্তমান সরকার দেশটাকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলের খবরে আমরা ভীষনভাবে উদ্বিগ্ন। যেমন আমি কিশোরগঞ্জ শহরের কথাই বলছি। আমি কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একজন নাগরিক। আমাকে আমার প্রয়োজনে প্রতিদিন যেতে হয় থানাসংলগ্ন রোড অতিক্রম করে নানা প্রতিষ্ঠানে। আমার মতো স্ব-স্ব প্রয়োজনে প্রত্যহ হাজার হাজা মানুষ চলে এই পথ ধরে। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পাশ ঘেঁষে রাস্তায় আছে হোটেল,আছে ডাক্তারের ক্লিনিক,আছে ভোরের আলোর মতো একটি সাহিত্য সংগঠনের মতো অফিস। আছে সমবায় অফিসও। কালীবাড়ির সনাতন ধর্মাবলম্বীর উপাসনালয়ও আছে। আর থানা তো আছেই। এতেই বুঝা যায় থানার পাশ ঘেঁষা রাস্তাটি কালিবাড়ী মোড় হতে টেনিস খেলার মাঠ পর্যন্ত রাস্তাটি নানা সময়ে দূর্গন্ধয় হয়ে ওঠে। জয়কালি হোটেল, রাজবাড়ি বিরানী হাউজ ননীগোপাল মিষ্টির দোকান সমূহের যাবতীয় বর্জ্য রাস্তার ড্রেনে নিক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু এসব বর্জ্য ড্রেনেই আটকে থাকে। ফলে বর্জ্যসমূহ ফুলে ফেঁপে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে মিশ্রিত থাকে পচাঁগন্ধ পানিসহ বর্জ্যের নানা অংশ। ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে যাবার সময় এর দূর্গন্ধে বমি করতে দেখা গেছে। বয়স্ক মানুষকে দেখা গেছে পিছলে পড়ে আঘাত পেতে। রাস্তায় এই দূর্গন্ধময় ময়লায় পরিধানের বস্ত্রাদি নষ্ট হয়ে অনেকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। এ রাস্তার করূণদশায় হাজার হাজার পথযাত্রী ভোগান্তিতে পড়ে। পৌর মেয়রের চলাফেরাও এই রাস্তার ওপর দিয়ে। বর্ষাকালে এই রাস্তার অবস্থা আরো বেশি বিশ্রী হয়ে চলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তাটির এমন দশা দেখবার যেন কেউ নেই।
আসলে এ রাস্তায় ড্রেনেজব্যবস্থা আরো প্রসারিত ও অপেক্ষাকৃত শ্লোপিং রেখে প্রয়োজনীয় বাজেট ও সুনিপুণ কর্ম উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য। এটা এখন পৌরবাসীর সময়ের দাবি।
Leave a Reply