রেজাউল হাবিব রেজা
আজ ২২এপ্রিল ২০২৩,শনিবার ঈদ-উল-ফিতরের দিন। সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদের জামাত। কিন্তু হোসেনপুরে ঈদের জামাত শুরু হবার আগেই ঘটে গেছে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। সেটি হলো ইদ জামাতের আধিপত্যকে নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে মারা গেছে ১জন। আশঙ্খাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ চরপাড়া হাসপাতালে ৩জন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সংবাদকর্মী শামছুল হক জানান, বিগত দিনে হোসেনপুর উপজেলার অন্তর্গত ১ নং জিনারী ইউনিয়নের নির্বাচনের জের হিসেবে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, বিগত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুস সালাম ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী দলের প্রার্থী আজহারুল ইসলামের সাথে নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীগ্রুফের আজহারুল ইসলাম জিতে যায়। কিন্তু আওয়ামীলীগের মনেনীত প্রার্থী মোঃ আবদুস সালাম জালভোট ও কারচুপির অভিযোগ আনে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি কেন্দ্রের ফলাফলও স্থগিত রাখে নির্বাচন অফিস। এর জের ধরে চলতে থাকে মনোমালিন্য ও খেদোক্তি। এটি শেষ পর্যন্ত গড়ায় মসজিদে। ফলে একই মসজিদে দুই গ্রুফের প্রভাব বিস্তার নিয়ে বীর কাটাহারির মড়লপাড়ায় আরেকটি নতুন মসজিদ গড়ে ওঠে। একটি মসজিদ বীরকাটাহারিতে, অপরটি হলো চরকাটাহারি পাড়ায়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া উভয় পার্টির পূর্ব পুরুষ একই বংশের। এতে বংশীয় বহির্ভুত কেউ কেউ ইন্ধন যুগাতো বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান। গুরুতর আহত অবস্থায় আবুতাহের নামের একব্যক্তিও জীবন সন্ধিক্ষণে আশঙ্খা অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত হওয়া ব্যক্তির নাম মোঃ নজরুল ইসলাম(৪০)। সে মড়লপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম জানান, এটি নির্বাচনোত্তর রেষারেষির জের হিসেবে সংঘটিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে একটি কেন্দ্র স্থগিতও ছিলো। ঘটনার সময়কার বিষয়টি প্রসঙ্গে অন্য একজন বলেন ঃ দুই পাড়া দু’টি মসজিদ থাকলেও ঈদগাহ ছিলো ১টিই। একই ঈদখানায় বিবাদমান ২টি দল তাদের পছন্দকৃত ২ ইমাম নিয়ে সকাল পৌনে ৯ঘটকায় ঈদগাহ মাঠে হাজির হন। কোন দলের লোক আগে জামাত পড়বে এ নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। মুসুল্লীদের ছত্রভঙ্গ অবস্থায় কারো জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা। বীর কাটাহারি গ্রামের মড়লবাড়ির মফিজ উদ্দিনের ৪০বছর বয়সী ছেলে নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানান। এ ব্যাপারের হোসেনপুর থানায় ফোন করা হলে ফোনটি রিসিভ করা হয়নি। তবে আঃ করিমের পুত্র আবু তাহের নামের আরেক মূমুর্ষ ব্যক্তিও মারা গেছে বলে প্রপাগান্ডা চালানো হলে সংবাদকর্মী নজরুল ইসলাম খায়রুল থানায় ফোন করেন। এতে থানা কর্তৃপক্ষ বলেনঃ ২য় মৃত্যুর খবর আমাদের জানা নেই। ২য় মৃত্যু সংঘটিত হলে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই আমাদের জানাতেন।” তাছাড়াও ময়মনসিংহ হাসপাতালে আরও ৭/৮জন জখমী রয়েছে বলে এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান। এ বিষয়ে হোসেনপুর থানা সম্যক খবর রাখছেন। বিস্তারিত তথ্য পরে জানা যাবে।
Leave a Reply