আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পরিবেশ দূষণের অভিব্যক্তি !!অন্তরালে না বলা কথার কাব্যমালা !!

  • আদব আলীর বুকফাটা আর্তনাদ 
    আমিনুল হক সাদী
  • ==========================
    আদব আলী সকালে উঠিয়া বলিল
    সেই কবির কালজয়ী কবিতা
  • “সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
  • সারাদিন আমি যেনো ভালো হয়ে চলি”…..
  • সেই কবিতার অনুস্মরণ আমি আর করিতে পারি না
    এই ব্যথা বেদনা আপনাকে কেমনে বলি ?
    সবকিছু বলতে নেই
    কবি কবিতায় বললেও বাস্তব বড় ভিন্ন
    তাই আমি এমনিতেই করিনা সম্পর্ক ছিন্ন।
  • বাবা মরেছে প্রতিবেশির বসত বাড়ির
    গৃহ পালিত হাঁসের খামারের বিষ্টার দুর্গন্ধে পেট ফুলে,
    রোগের ইতিহাসের কথা বলিব আসল ঘটনা খুলে ,
    ভাববে হয়তো কেউ সমাজে বলিলে রোগের কথা
    কহিবে মরেছে বলে অপরকে কৌশলে ফাঁসানোর;
    একবারও কী ভাবুকেরা ভেবেছো করেছো রোগ গবেষণার
    কোন পরিবেশে শরীরে দানা বেঁধেছিলো রোগ নূর আলীর।
    এক যুগকাল খাছলত মিয়া মনের খাছলত মনে পোষে
    বাঁধে হাসের খামার নূর আলীর বসত ঘর ঘেঁষে।
    হাঁসের ডিম বেছে জমি কিনে বিষ্টা জমিয়ে ফসল ফলায় উর্বর,
    পরকালের চিন্তায় কভু হয়না দুর্বল খামারীর মন;
    সীমারের মতো পাষানী মন নুর আলীর ভাইরে করে খুন
  • সেই থেকে বুকের জ্বালা নিয়ে বাড়ে ব্যথা দিগুন,
    ৩৫ বছর পর খাছলত মিয়া ঘরের কোণে,
    নতুন করে হাঁসের খামার তৈরি করে,
    দুর্গন্ধের দায়ে নুর আলীর
    গ্যাস্টিক এক্সরেতে ধরা পরে।
    দিনে দিনে ব্যথা বেড়ে হার্টে গিয়ে বিঁধে
    হার্টএটাক করে হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন,
    সুস্থ হয়ে ফিরেন বাড়ি ছিলেন মেলাদিন।
    সুস্থ হওয়া সহ্য হয়না খাছলত আলীর,
    পরের ক্ষতি করিতে দুর্গন্ধে ফন্দি ফিকির;
    তাইতো আরও শরীক নিয়ে বড় করে বাঁধিলো বোবা প্রাণীর দুর্গন্ধের বৃহত খামার,
    নিজের জমিনে ঘর বাঁধিছে করেছে খামার
    শক্তি আছে কার রুখিবার;
    যেই নূর আলী ছিলো প্রতিবাদী
    সেওতো এখন পরপারে,
    সুযোগে সন্ধানে আরও দুর্গন্ধ দিয়ে
    শারিরিক ক্ষতির পরিকল্পনা করে।
    গ্রামের মাতাব্বরকে কহিলে বলে
    নিজের জায়গায় নিজেই বেঁধেছি ঘর,
    কে আমারে করিবে বিচার;
    আমিওতো এই সমাজের নই পর।
    হয়তো বেঁধেছি দুর্গন্ধের ঘর
    সে ঘ্রাণ লাগে না আমার নাকে,
    বাতাসে উড়ে কেনো যায় ঘ্রাণ
    প্রতিবেশীর নাকে মুখে।
    সে কথার জবাব কেমন করে দেবো
    বলবে এই মাতাব্বর এলো কোত্থেকে,
    এই জায়গার মালিক আমি
    পেয়েছি আমার বাবা-চাচাদের থেকে।
    আমার জমিনে আমার ঘরে যা খুশি  করিব তাই,
  • সমাজ আমি ধারি নাই,
    যখন ক্ষুধার জ্বালায় ছিলাম অন্নহীনে
    সমাজ আমায় খাবার মুখে তুলে নাই।
    ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে বৃহৎ আকারে
    আজি হাঁসের খামার দিয়েছি,
    আমার বসত বাড়ির আমার ঘরের কাছে
    দুর্গন্ধের পাহাড় জমিয়েছি।
    বসত বাড়িতে মানা আছে খামারের
    বিধি আছে নিষেধাজ্ঞার,
    সরকারী বিধিমালা আমি ধারিলে ধার
    পেটে নাহি জুটিবে খাবার।
    খামারের সামনে নূর আলীর বসতভিটা
    দেখার সময় নাই আমার,
    আদব আলী খাছলত মিয়ারে
    কহিলো কতো বিনয় করে বারংবার;
    অসুস্থ মা রমজানের রোজা রেখে
    দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ রোগী খামারের,
    গ্যাস্ট্রিক, ডায়াবেটিস বাসা বেঁধে আছে
    এমনিতেই মায়ের শরীরে ;
    এই কথা সে আমলে না নিয়ে
    কালো মুখে শেয়ালের ভেংচি মারে!
    মোর দু’টি শিশু সন্তান দুর্গন্ধের দায়ে
    কাঁশিতে কাঁশিতে নিউমোনিয়া,
    হাসপাতালে দৌড়াদৌড়িতে প্রাণ যায় যায়,
    এমনিতে অপারেশনের রোগী থাকি অস্থির;
    এই সমাজের মাতাব্বরকে কত নালিশ করেছি,
    কেউ শুনেনা বুঝে না আছে সবাই যে স্থির।
    তাই এবার মানুষের কাছে নয়
    আল্লাহর কাছে করছি ফরিয়াদ,
    শুনো প্রভু এই আদব আলীর
    বুক ফাটা আর্তনাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category