কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের জোড়াখুনের ঘটনায় ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিয়ে আলামতসহ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে।
বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চারাগাছ রোপণকে কেন্দ্র করে মাহমুদ হাসান ওরফে আলমগীর (৩০) ও নাদিরা (২১) সহোদর ভাই-বোনকে কুপিয়ে খুন করাসহ গুরুতর আহত আরো তিন জন ছিলো জখমী । এ ঘটনায় গত ১৪ জুলাই মোহাম্মদ আবদুল কাদির (৪৪) কে প্রধান আসামী করে নিহত নাদিরার বাবা সামসুল ইসলাম হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।সহোদর ভাই-বোনকে হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামী মোঃ ইমরানকে লালমনির হাট জেলার কালিগঞ্জ এলাকা ও আরমান মিয়া এবং হত্যাকান্ডে জড়িত শিশুসহ ৩ জনকে করিমগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার(১৬ জুলাই) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কনফারেন্স রুমে পুলিশ সুপার মো: রাসেল শেখ এ তথ্য দেন।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন নিহতদ্বয়ের চাচি ফরিদা খাতুন (৪১) ও চাচাতো ভাই মো. ইমরান (২৬), আরমান মিয়া (১৮),আরেকজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় নাম জানানো হয় নি। তারা সকলেই হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার মো: রাসেল শেখ(এসপি) বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মো. শামসুল ইসলামের বাড়ির সামনে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ডাকাডাকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন শামসুলের পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ করায় আসামিরা হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শামসুলের বড় ছেলে মাহমুদ হাসান ওরফে আলমগীর, মেজো ছেলে হুমায়ুন কবীর, ছোট ছেলে সালমান, মেয়ে নাদিরা ও স্ত্রী শাহিদাকে জখম করেন।
তিনি আরো বলেন, আসামিদের অস্ত্রের আঘাতে আলমগীর ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হুমায়ুন কবীর, সালমান, নাদিরা ও শাহিদাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে নাদিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐদিনই মারা যান। আহত অন্যরা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরো বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply