ভোরের আলো ডেস্ক ঃ ভৈরবের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার নিয়ে জনমুখে পরিসংখ্যান বিষয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানো আছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান গুঞ্জনের বাহিরে গিয়ে নিম্নে সরকারি হিসাব তুলে ধরছিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশনের অদূরে সংঘটিত ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সরকারীভাবে ঘোষিত মৃত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কাসেম মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া, মিঠামইন উপজেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গালপাড়া এলাকার রইস উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, ছেলে সজিব মিয়া ও ইসমাইল মিয়া, একই উপজেলার মেরেঙ্গা গ্রামের জোনায়েদের স্ত্রী হোসনা আক্তার, ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে এ কে এম জালাল উদ্দিন আহমেদ, ভৈরব উপজেলার রাধানগর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আফজাল হোসেন, একই উপজেলার রানীবাজার এলাকার প্রবোধ শীলের ছেলে সবুজ চন্দ্র শীল, শ্রীনগর এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া, কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে ইমারুল কবীর, বাজিতপুর উপজেলার পিরোজপুর ডুয়াইগাঁও এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে আসির উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বরউছড়া এলাকার মৃত সুরত আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন সরকার ও কিশোরগঞ্জ জেলার চানপুরের গোপদীঘির চান মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া।
ভৈরবের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান সবুজ জানান, আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় ১৭ জনই মারা গেছেন। তবে আহতের সংখ্যা অনেক। শতাধিক হতে পারে সেই সংখ্যা। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে পঁচিশ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে।
সূধীজন বলছে,ইতিপূর্বে অনেক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি বলেই এমন দুর্ঘটনার পূণরাবৃত্তি ঘটছে। শ্রুতি অনুযায়ী ভৈরবে এমন দুর্ঘটনায় সিগন্যাল বিভ্রমে যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে এর দায় রেল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেনা। আশাকরি ,রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এর সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিচারের আওতায় আনবেন।
Leave a Reply