আজ ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় ৪ সাংবাদিক নিহত, আহত শতাধিক।

বার্তা সম্পাদক (ভোরের আলো বিডি ডেস্ক) ঃ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ভয়াবহ সহিংসতা ও নাশকতার মধ্যে  ৪ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ঢাকা টাইমসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মেহেদী (৩১) ও ফ্রিল্যান্স ফটো জার্নালিস্ট তাহির জামান প্রিয় নিহত হন। ঢাকার বাইরে  নিহত অন্য  ২ সাংবাদিক হলেন- দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন ও দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি এটিএম তুরাব। গত ১৮ ও ১৯ জুলাই-২০২৪ তারা পোশাগত দায়িত্বপালনকালে প্রাণ হারান। এর বাইরে আন্দোলনকে ঘিরে আহত হয়েছেন শতাধিক সাংবাদিক।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ঢাকা টাইমসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মেহেদী (৩১)।  গত (১৮ জুলাই) ২০২৪ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে টোল প্লাজার ওপরের অংশে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রায় ১০ মিনিট পড়ে থাকার পর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।

গত (১৮ জুলাই) ২০২৪ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মারা যান দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) একই দিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এ ছাড়া, ঢাকায় হাসান মেহেদী ও গাজীপুরে শাকিল হোসেন নিহত হন বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়।

ফ্রিল্যান্স ফটো জার্নালিস্ট তাহির জামান প্রিয় গত (১৯ জুলাই) ২০২৪ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। নিহত প্রিয়’র গ্রামের বাড়ি রংপুর। কিছু দিন আগেও তিনি দ্যা রিপোর্ট ডট লাইভ নামের একটি অনলাইন পত্রিকায় ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই পত্রিকাটির স্টাফ রিপোর্টার শ্রাবণ ও প্রিয়’র মা মৃত্যুর বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গুলিতে নিহত হন দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি এ টি এম তুরাব। গত (১৯ জুলাই) ২০২৪ সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সাংবাদিক তুরাব। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) হয়েছে। সাংবাদিক তুরাব সিলেটের পত্রিকা দৈনিক জালালাবাদেও কাজ করতেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) তথ্য বলছে, কোটা আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গেল ১৮ জুলাই পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি সাংবাদিক রাজধানীসহ সারা দেশে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলা, মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর প্রাথমিক তথ্যও বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকায় অন্তত শতাধিক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category