বাংলাদেশের প্রথিতযশা প্রবীণ সাংবাদিক ও শিক্ষক মাহাবুবুল আলম ইহধামে আর নেই। ফলে বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ একজন সাংবাদিককে হারালো । শিক্ষক সাংবাদিক মাহাবুবুল আলমের ইন্তেকালে শোকাহত চট্টলাবাসী।
চট্টগ্রাম প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক আজাদীর সাবেক সহকারী সম্পাদক ও ধর্মপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মাহবুব উল আলম (৮৫) আজ বেলা ২টায় নগরীর মাক্স হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন
(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন। ছাত্র ও ছাত্র অভিভাবকদের মুখে বহু স্মৃতিকথা উচ্চারিত হচ্ছে ওনার মৃত্যুতে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে দৈনিক আজাদীতে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দৈনিক আজাদীর আন্দরকিল্লাস্থ কার্যালয়ে ধর্মপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা তার সাথে সাক্ষাত করেন। দৈনিক আজাদীর আন্দরকিল্লাস্থ কার্যালয়ে। ২০০২ সালে বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্টানের “ফিরে দেখা” স্মরণিকায় তার নাতিদীর্ঘ স্মৃতি কথা প্রকাশিত হয়।
“”তার এক অনুগত ভক্ত বলেনঃ দৈনিক আজাদীতে ফটিকছড়ি প্রতিনিধি পদে যোগদান করার দিন স্যারের সাক্ষাত হয়। স্যারকে আমি পা ছুঁয়ে সালাম করি। স্যার আমার পরিচয় পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন। স্যার মাইজভান্ডারী ভক্ত ছিলেন। তিনি মাসিক আলোকধারা পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদে যুক্ত ছিলেন এবং ‘খতিয়ান’ নামক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।””
প্রবীণ এই শিক্ষক ও সাংবাদিক নেতার মৃত্যুতে ধর্মপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ হতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।
জাতীয় সংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম ও ভাইসচেয়ারম্যান রেজাউল হাবিব রেজা, মহাসচিব হেলাল উদ্দিন হিলু এক যুক্ত বিবৃতিতে এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটিতে তাঁর প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
Leave a Reply