১৯৯১ সাল হতে ২০২৪ পেরিয়ে এখন ২০২৫ সাল। ৩২ বছর এক শিক্ষক একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন বৈধ নিয়োগ ও যোগদানপত্র ছাড়াই।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর এক অভিযোগ পত্র থেকে বিষয়টি অনেকের নজরে এসেছে।
জানা গেছে করিমগঞ্জ পৌরসভাধীন আঃ ছালাম মুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ নেলায়েত হোসেন ভুইয়া নামের এক ব্যক্তি অধৈধ শিক্ষকতার নজির স্থাপন করেছেন।
তথ্যে ওঠে এসেছে বেলায়েত হোসেন ভুইয়া ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রথমে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় ও পরে মানিকগঞ্জের সাঠুরিয়া উপজেলায় ব্র্যাকের শিক্ষাবিভাগে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু আ: ছালাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেখানো হয়েছে ১৯৯১ সাল থেকে। এখানে প্রশ্ন থেকে যায় যে, বেলায়েত হোসেন একটি প্রাতমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেখিয়ে ভিন্ন জেলায় একই সময়ে ব্রাকের মতো বেসরকারি প্রতিষ্টানে কীভাবে চাকুরী করে? অথচ তাকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক ওই নিয়োগ কালের বর্ননায় কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। তাহলে প্রশ্ন জাগে এতদিন কীভাবে সরকারি চাকুরীতে বহাল থাকে?
বিষয়টি জানা গেছে করিমগঞ্জ নয়াপাড়া আঃ ছালাম মুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সৈয়দা আরমা বেগমের করা অভিযোগ পত্র থেকে। তিনি গত ৩১ডিসেম্বর -২০২৪ এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বরাবরে বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে এমন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্কুলের এই সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারি শিক্ষা অফিসার ও স্কুল প্রধানের কাছে একটি অনুলিপি প্রেরণ করেন। অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করা হয় যে, বেলায়েত হোসেন একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। অতীতে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারনে কয়েকদিন হাজতেও যেতে হয়েছে। এতদসত্ত্বেও ওই হাজতবাসের দিনগুলোতে স্কুলে অনুপস্থিতিকে ফাঁকি দিয়ে এর বেতনও তুলেছেন যা চাকুরী বিধির পরিপন্থী। পারিবারিকভাবেও রয়েছে স্বজনদেরকে রক্তাক্ত করার ইতিহাস। ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ের ফয়সাল নামের এক প্রাক্তন ছাত্রকে বাড়ী থেকে ধরে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। জানা গেছে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাস্তবায়নে তার অনুগত বাহিনীও রয়েছে। ফলে তার ভয়ে এলাকাবাসী কিছু বলতে চায়না। তদুপরি শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপ তৈরি করে দলাদলি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নিজ মতলব হাসিলে তৎপর থাকে এই অবৈধ শিক্ষক বেলায়েত। স্কুলের মর্যাদা ও শিক্ষার শুদ্ধতায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে আঃ ছালাম সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে এলাকাবাসীর একান্ত দাবী।
Leave a Reply