কবিতা,গান ও আলোচনার মধ্যি দিয়ে ভোরের আলো সাহিত্য আসরের ১২২১তম সভায় পুষ্প অর্পনসহ সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয় সাংবাদিক আবুল কাসেমকে।
১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ৮টায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানা সংলগ্ন মডার্ন ডেন্টালে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মান জানানো হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন “অথচ এবং ইত্যাদি বইয়ের লেখক কবি মোতাহের হোসেন।
সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা মো: রেজাউল হাবিব রেজার সঞ্চালনায় এ অনুষ্টানটি প্রায় ৩ ঘন্টা চলমান থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মিসবাহ উদ্দিন, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিআরডিবির উপপরিচালক, ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ভুইয়া, অবসরপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার মো: মনজুরুল হক, সংবর্ধিত সাংবাদিক আবুল কাসেম, আসরের উপদেষ্টা ডাঃ মো: হিরা মিয়া, ভোরের আলো সাহিত্য আসরের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক আলী রেজা সুমন, কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুল ওয়াহাব, আসরের উপদেষ্টা হাকীম মোঃ সুলতান আহমেদ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পী মো: হেলাল উদ্দিন আকন্দ, আসরের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম লিটন, শিল্পী কাজী আহমেদ রাজু, ভোরের আলোর নারী অংশের সাধারণ সম্পাদক মির্জা মাহবুবা বেগ মৌসুমী, আসরের আইন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সম্পাদক কবি হিরন আকন্দ, নারী সদস্য আনোয়ারা বেগম, আসরের সদস্য কবি সাদেকুজ্জামান সোহাগ, বাউল কবি কবির সরকার, তারণ্যের কবি সোহানুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রক্তাক্ত জখম হওয়া বিপ্লবী নেত্রী সুমাইয়া আক্তার ইকরা ও সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম নাদিম প্রমুখ।
অনুষ্টান শেষে প্রধান অতিথি আ.স.ম. মিসবাহ উদ্দিন এর হাত থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন নির্যাতিত সাংবাদিক আবুল কাসেম।
তার আগে আবুল কাসেমের গলায় পুষ্পমাল্য তুলে দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রক্তাক্ত জখম হওয়া বিপ্লবী তরুণী সুমাইয়া আক্তার ইকরা ও জেলার বিশিষ্ট সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম নাদিম।
পরে সম্মাননা স্মারক গ্রহনকারী সাংবাদিক আবুল কাসেম তার অনুভুতি ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য যে, বিগত দিনে সাংবাদিক আবুল কাসেম সমাজের অনৈতিক কার্যক্রম তুলে আনতে গিয়ে কতিপয় মুখোশধারী জঙ্গি সন্ত্রাসী কর্তৃক রক্তাক্ত আক্রমনের শিকার হন। কোনো এক রমজান মাসে তারাবি নামাজের পর অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতে বাড়ির সম্মূখস্থ রাস্তায় এলে কাসেমকে কুপিয়ে আহত করে একদল দুষ্টচক্র। রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকলে গ্রামের মুসুল্লীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ কাসেমের অবস্থা নাজুক দেখে ঢাকা হাসপাতালে রেফার্ড করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা । তারপর ঢাকায় দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর মৃত্যু শয্যায় উপনীত হওয়া সাংবাদিক কাসেম জ্ঞান ফিরে পায়। ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে পড়ে এর সুবিচার পায়নি সাংবাদিক আবুল কাসেম।
সাংবাদিক আবুল কাসেম শুধু অনৈতিক চিত্রই প্রকাশ করেনি, কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহের নিউজ কাভারে তৎপর থাকেন। বিশেষ করে ভোরের আলো সাহিত্য আসর, কিশোরগঞ্জ ইতিহাস-ওইতিহ্য সংরক্ষন কমিটি, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ইত্যাদির সংগঠনের প্রায় অনুষ্ঠানের প্রতিটি সংবাদ কাভার করতে সে সোচ্চার থাকে। মৃত্যুর কিনারা থেকে ফিরে আসা সাংবাদিক আবুল কাসেমের অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত নিউজ কাভার করতে পিছপা হয়না। তার এই কর্মতৎপরতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই ভোরের আলো সাহিত্য আসর এই সাংবাদিককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে ও পুষ্পিত করে।
অনুষ্ঠানের শেষে ভোরের আলো সাহিত্য আসরের সভাপতি কবি মোতাহের হোসেন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Leave a Reply