মহিনন্দের মাইজপাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খুন হয়েছে মৃত মজলু মিয়ার ছেলে শরীফুল ইসলাম (৩৫)। আজ ৩মার্চ (সোমবার) এ অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে, প্রতিবেশি আবু ছালেহ’র গংদের সাথে শুক্কুর আলীর ভাই-ভাতিজার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো । আজ শরীফ তার মামাতু ভাইয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়।। পথিমধ্যেই রয়েছে শুক্কুর আলীর বাড়ী। দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে সুযোগে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা শুক্কুর আলী গংদের লোকজন দলেবলে আক্রমণ করলে শরীফ মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। তবে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে জানায়। শরীফকে শত্রুরা কুপিয়ে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেনঃ শরীফ রামদা দিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দায়ের কোপে শরীফের মাথা কয়েক ইঞ্চি কেটে যায়। তদুপরি তাকে পেটানোও হয়। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। শরীফ মিয়ার স্বজনদের আরো ৫জন আহত হয়। তারা ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।তারা হলেন এখলাস মিয়া, রাজন মিয়া, ইদ্রিস মিয়া, আফসর আলী ও তানিয়া আক্তার। লোক মারফত জানা গেছে, সম্ভাব্য খুনিদের মধ্যে আবু ছালেহ ও হুসনা নামে দুইজন পুলিশ হেফাজতে আছে একই হাসপাতালে। উভয়পক্ষের মোট ৫জন ধৃত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শরীফকে খুন করতে আবু ছালেহ’র সাথে ছিলো রমজান,ফারুক,ইব্রাহীম,রাজু মিয়া,রফিক ও অজ্ঞাত আরো লোকজন। শরীফ মিয়ার লাশটি হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পুলিশ অন্যদেরকে ধরার জন্য চেষ্টা করছে। স্বজনরা ও এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চায়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
শরীফুল ইসলাম চুল কাটার কাজ করতো। গাঙ্গাইল বাজারে তার একটি সেলুন আছে। ফাঁকে ফাঁকে সে কৃষি কাজও করতো।
Leave a Reply