আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শোলাকিয়ায় ১৯৮তম ঈদ-উল-ফিতরের জামাত সম্পন্ন।

রেজাউল হাবিব রেজা,(কিশোরগঞ্জ থেকে)“””””””””””””””””””””””

 ইতিহাসের সবচে বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশেরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। ঈদুল ফিতরের এ জামাতটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে খুব সতর্কতা অবলম্বন করে। প্রতিক্রিয়াশীলদের ধ্বংসাত্মক কর্সূচির মোকাবেলার জন্যই এ সতর্কতা। উল্লেখ্য যে বিগত দিনে এ শোলাকিয়া মাঠকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একদল বিভ্রান্ত ও পথচ্যুত যুবক হামলা চালায়। এ প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন বাড়তি সুরক্ষা দিতে পুলিশ,আর্মী,বিজিবি,র‍্যাব,গোয়েন্দা ও স্কাউটদের সমন্বয়ে বৃহৎ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। যুক্ত ছিলো ফায়ার সার্ভিসও।

  গত ২০১৬ সালের ৭জুলাই জঙ্গিকর্তৃক হামলায় ২জন কনস্টেবল, ১জন হিন্দু রমণী ও অপরজন ১ জঙ্গি নিহত হয়েছিল। এর পর হতেই মাঠের সুরক্ষায় এমন নিরাপত্তা।

আজ ৩১ মার্চ (সোমবার) সকাল ১০টায় নিরাপত্তা বেস্টনীর মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের এ মাঠে স্মরণকালের বৃত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোরের হতেই বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো শোলাকিয়ায় আসতে থাকে মুসুল্লীদের স্রোত।রৌদ্রোজ্জ্বল অনুকূল পরিবেশে এবার নজীর বিহীন মুসুল্লূীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আনুমানিক বিশ্লেষকরা এতে ৬লাখ মুসুল্লীর সমাগম ঘটেছে বলে ধারণা করছেন। বৃহৎ ঈদের জামাত শুরু করার আগে ছুঁড়া হয় কয়েক রাউন্ড গুলি। এত মানুষের গুঞ্জন ভেদ করে সবার মন ও দৃষ্টি একমুখী করার জন্যই এরকম গুলির আওয়াজ দিয়েই সূচনা করা হয় ঈদ জামাতের। অতপর ইমামের তাকবীর ধ্বনি অনুস্মরণ করে লাইনে লাইনে মোকাব্বিররা ঈদ জামাতের সহযোগিতা করেন। এভাবে ৬ তকবীরের সাথে সম্পন্ন হয় শোলাকিয়ার ঈদ-উল -ফিতরের ১৯৮ তম জামায়াত।

নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা এ বৃহত্তম জামাতটির ইমামতি করেন বিগত দিনে ১৫ বছরের বঞ্চিত ইমাম মুফতি মাওলানা এ কে এম ছাইফুল্লাহ।

শুধু নিরাপত্তা নয়, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাখায় হয় মেডিকেল টিম ও এম্বুলেন্স। ব্যবহার করা হয়  ড্রোন ক্যামেরার। তাছাড়া ৬টি ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত ছিল পুরো ঈদগাহ মাঠ।

মুসুলল্লীদেরসেবায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন খুব যত্নশীল ছিল। মুসুল্লীদের ওজুখানা, নদী পারাবারের জন্য ব্রীজ স্থাপন, দূরবর্তী মুসুল্লীদের জন্য বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করা ও তাদের থাকা খাওয়ার জন্য বগে জান্নাত মাদরাসা, আজিমউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়সহ নানা স্থানে অবস্থানের বিশেষ সুবিধা করা হয়।

এ শোলাকিয়ার নাম করণে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আছে। ভিত্তিহীন ও শোনা কথায় নলা হয় মাঠে প্রথমে সোয়া লোক হয়েছিলো। সেই থেকে শব্দের বিবর্তনে শোলাকিয়া নাম করণ করা করা হয়।  নামকরণে আসল ইতিহাস হলো এখানে ব্রিটিশ আমলে কলকাতা হতে শুল্ক ওটানোর জন্য শুলকুন নামের নৌকা বাধা থাকতে এখানে। সেই শুলকুন থেকে শব্দের বিবর্তনে ঈদগাহসহ স্থানের নামকরণ করা হয়ে শোলাকিয়া।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category